National

এ স্কুলে পড়তে টাকায় মাইনে দেওয়া যাবেনা, দাদারাই যখন শিক্ষক

এ এমন এক স্কুল যেখানে পড়তে গেলে মাইনে দিতে হয় ঠিকই, তবে তা টাকায় নয়। সপ্তাহে সপ্তাহে মাইনে নেয় স্কুল। আর সেটা প্লাস্টিক বোতলে।

স্কুলে পড়তে গেলে মাইনে তো দিতেই হয়। যদিও কিছু সরকারি স্কুলে একটা ক্লাস পর্যন্ত মাইনে দিতে হয়না। সেই স্কুলগুলি বাদ দিলে বাকি স্কুলে মাইনে দিয়েই সন্তানকে পড়ান অভিভাবকরা। এই স্কুলটিও মাইনে নিয়েই পড়ায়। তবে পড়ুয়াদের মাইনে টাকায় নেওয়া হয়না।

টাকায় মাইনে হয়না এখানে। হয় প্লাস্টিক বোতলে। তার নিয়ম আছে। প্রতি সপ্তাহে ২৫টি করে প্লাস্টিক বোতল মাইনে বাবদ নিয়ে আসতে হয় ছাত্রদের। এটা কিন্তু করতেই হবে। নাহলে স্কুল থেকে বিদায়।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

তেমজেন ইমনা আলং নামে নাগাল্যান্ডের এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এই স্কুলটির কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন। স্কুলটি অসমে অবস্থিত।

২০১৬ সালে তৈরি স্কুলটিতে মূলত পড়ে সমাজের তথাকথিত সুযোগ না পাওয়া ছাত্ররা। তাদের অনেকেরই মাইনে দেওয়ার ক্ষমতাও নেই। স্কুল এই মাইনে চায়ও না। টাকায় নয়, স্কুল মাইনে নেয় প্লাস্টিক বোতলে।

এই স্কুলে পড়তে গেলে ছাত্রদের প্রতি সপ্তাহে ২৫টি প্লাস্টিক বোতল সংগ্রহ করে আনতে হয়। এই সব বোতল পরিবেশ দূষণ করে। তাই স্কুলের অভিনব ভাবনা হল এই বোতলগুলি এভাবে সংগ্রহ করে পরিবেশ সম্বন্ধে ছাত্রদের আরও সচেতন করে তোলা। সেইসঙ্গে প্লাস্টিক রিসাইকেল সম্বন্ধেও বোঝানো। এখানে প্লাস্টিক রিসাইকেল করে তা দিয়ে ইট, টয়লেট, রাস্তা সবই তৈরি করা হয়।

স্কুলে যারা পড়ে তাদের মাস্টারমশাইরা হল ওই স্কুলেরই উঁচু ক্লাসের ছাত্ররা। স্কুলে সবাই আনন্দ করে পড়াশোনা করে। অন্য নানা বিষয়ও স্কুলে পড়ানো হয়।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *