National

কেবল মদের দোকানের আবেদনের ফি বাবদ রাজ্যের রোজগার ২ হাজার ৬০০ কোটি

একটি মদের বোতলও বিক্রি করা হয়নি। মদের দোকান করতে পারবে এমনও স্থিরতা নেই। তারপরেও স্রেফ আবেদনপত্র থেকে এ রাজ্যের রোজগার হল ২৬০০ কোটি টাকা।

আবেদন করা মানেই যে মদের দোকান তৈরিতে ছাড়পত্র পাওয়া এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। পুরোটাই নির্ভর করছে লটারিতে নাম ওঠে কিনা তার ওপর। কিন্তু সরকারের শর্ত ছিল আবেদনপত্রের জন্য যে অর্থ ব্যয় করবেন আবেদকরা তা তাঁরা লটারিতে দোকান না পেলেও ফেরত দেওয়া হবেনা।

অর্থাৎ আবেদনপত্রের সঙ্গে দেওয়া ফি ফেরতযোগ্য নয়। আর আবেদনের ফি কত? আবেদনের ফি ছিল ২ লক্ষ টাকা। যা লটারিতে নাম না ওঠা মানে পুরোটাই গেল।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

কিন্তু তাতেও উৎসাহে এতটুকু খামতি খুঁজে পাওয়া যায়নি। তেলেঙ্গানা সরকার রাজ্যে ২ হাজার ৬২০টি নতুন মদের দোকানের লাইসেন্স দেবে। এজন্য আবেদনপত্র চাওয়া হয়েছিল।

দেখা গেছে ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৯৫৪ জন ওই ২ লক্ষ টাকা খরচ করেই মদের দোকানের জন্য আবেদনপত্র জমা করেছেন। যা থেকে তেলেঙ্গানা সরকারের আয় হয়েছে ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।

এবার লটারি হবে। এই ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৯৫৪ জনের মধ্যে মাত্র ২ হাজার ৬২০ জনের নাম উঠবে। তাঁদের শিকেয় ছিঁড়বে। বাকিদের ২ লক্ষ টাকা করে রাজ্যের কোষাগারে চলে যাবে। কোনও প্রাপ্তি ছাড়াই।

তেলেঙ্গানা সরকার জানাচ্ছে, এটাই এখনও পর্যন্ত মদের দোকানের লাইসেন্স চেয়ে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আবেদনপত্র। এর আগে এত আবেদন কখনও জমা পড়েনি। কার্যত ২ লক্ষ টাকারও পরোয়া না করে লক্ষাধিক মানুষের এই মদের দোকান করতে চেয়ে আবেদন সরকারকেও অবাক করেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *