National

ট্রেন দুর্ঘটনার পর থেকে স্কুলে আসছে না ছাত্ররা, স্কুল বাড়ি ভেঙে ছাত্রদের ফেরানোর চেষ্টা

ট্রেন দুর্ঘটনা, স্কুল, ছাত্রদের না আসা, স্কুল বাড়ি ভেঙে ফেলা, এগুলোকে একটা সুতোয় গেঁথে ফেলা কঠিন। কিন্তু এগুলো আদপে একই সুতোয় গাঁথা।

ট্রেন দুর্ঘটনার পর থেকে স্কুলের ছাত্রদের ভূতের ভয় পেয়ে বসেছে। শুধু স্কুলের ছাত্ররা বলেই নয়, তাদের অভিভাবকরাও আর ওই স্কুলে সন্তানদের পাঠাতে চাইছেন না। কিন্তু ভূতের ভয় কেন? কারণ রয়েছে।

ওড়িশার বালাসোরে করমণ্ডল সহ ত্রিট্রেন দুর্ঘটনার পর উদ্ধারকাজ শুরু হয়। এক এক করে বার করে আনা হয় মৃত যাত্রীদের দেহ। সেইসব দেহ প্রাথমিকভাবে রাখা শুরু হয় কাছের সরকার পরিচালিত বাহানাগা হাইস্কুলের ক্লাসরুমে। সেটাই হয়ে ওঠে অস্থায়ী মর্গ।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

সেখানে একের পর এক দেহ এনে শুইয়ে রাখা হয়। পরে সেসব দেহ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হলেও, স্কুলের ক্লাসরুমে মৃতদেহ রাখার পর থেকে তা নিয়ে ছাত্রদের মধ্যে একটা আতঙ্ক জন্ম নিয়েছে। তারা ভূতের ভয় পাচ্ছে। ফলে তারা আর স্কুলে আসতে চাইছে না।

বিষয়টি জানার পর জেলাশাসক নিজে স্কুলে হাজির হন। স্কুল পরিচালন কমিটির সঙ্গে কথা বলেন। বুঝিয়েও ভীতি কাটাতে না পারায় অবশেষে বড় সিদ্ধান্ত নিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। তারা স্কুল বাড়ি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করে দিল।

৬৫ বছরের পুরনো স্কুলটিকে ভেঙে নতুন করে সেখানে স্কুল তৈরি করা হবে বলে জানানো হয়েছে। পুরনো স্কুল বাড়ি যেহেতু ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতদের অস্থায়ী মর্গে পরিণত হয়েছিল, তাই ছাত্র ও অভিভাবকদের ভয় কাটাতে স্কুল বাড়িটিই নতুন করে গড়ে তোলা হতে চলেছে।

প্রসঙ্গত গত ২ জুন ওড়িশার বালাসোরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় ২৮৮ জনের প্রাণ যায়। ১ হাজার ১০০ জন আহত। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *