National

একান্ত ব্যক্তিগত কথা বলার জন্য এবার স্কুলের এক কোণায় সাথিয়া পাবে ছাত্রছাত্রীরা

তারা যদি কোনও ব্যক্তিগত কথা আলোচনা করতে চায়, তাহলে তার জন্য সাথিয়া হাজির হচ্ছে স্কুলে স্কুলে। স্কুলের এক কোণায় তাদের পাবে ছাত্রছাত্রীরা।

স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের অনেক ব্যক্তিগত কথা বলার থাকে। কিন্তু অনেক সময় তা তারা বাবা মায়ের সঙ্গে ভাগ করে নিতে বা তাঁদের বলতে লজ্জা বোধ করে। বিশেষত বয়ঃসন্ধির সময় ক্রমশ শারীরিক বদল নিয়ে তাদের মনে অনেক জিজ্ঞাসা থাকে।


কিন্তু তা কাকে জিজ্ঞেস করবে তা বুঝে উঠতে পারেনা। বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করলেও সমবয়সী হওয়ায় বিষয়টিতে কারও জ্ঞানই পরিস্কার হয়না। ফলে প্রশ্নটা সেই মনে উঁকি দিতেই থাকে।

এবার ছাত্রছাত্রীদের বয়ঃসন্ধির বছরগুলিতে এই শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন সংক্রান্ত যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দিতে ও তাদের সঙ্গে খোলামেলা ভাবে কথা বলতে স্কুলে স্কুলে বসতে চলেছে সাথিয়া কর্নার। এ উদ্যোগ অবশ্য উত্তরপ্রদেশ সরকার নিয়েছে।



সেখানে আপাতত ৩৬টি স্কুল বেছে নেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে কোএড অর্থাৎ যে স্কুলে ছেলেমেয়ে একসঙ্গে পড়ে তেমন স্কুলগুলি।

তারপরই গুরুত্ব পাচ্ছে মেয়েদের স্কুলগুলি। সাথিয়া হিসাবে তারা পাবে তাদেরই স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের। এমন ৭২ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের এইসব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়ার জন্য।

স্কুলের একটি কোণায় সাথিয়া কর্নার তৈরি করা হবে। সেখানে যে কোনও ছাত্র বা ছাত্রী গিয়ে তাদের মনে জমে থাকা প্রশ্ন করতেই পারে। একান্তেই তারা কথা বলতে পারবে শিক্ষকদের সঙ্গে।

এপ্রিল মাসের মধ্যেই এ বিষয়ে যাবতীয় উদ্যোগ সম্পূর্ণ করে মে মাস থেকেই এই সাথিয়া কর্নার প্রথম পর্যায়ে বিভিন্ন মাধ্যমিক স্কুলে চালু করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরপ্রদেশের শিক্ষা দফতর। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button