National

গ্রামের মেয়েদের চ্যাম্পিয়ন করতে মাইনের টাকা মাঠে ঢালছেন গ্রাম প্রধান

গ্রামের মেয়েদের জন্য তিনি ভাবেন। মনেপ্রাণে চান গ্রামের মেয়েদের চ্যাম্পিয়ন হিসাবে দেখতে। এজন্য মাইনের টাকা মাঠে ঢালছেন তরুণী গ্রাম প্রধান।

একটি গ্রাম। তার গ্রাম প্রধান। এইটুকু ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়েই তিনি উন্নয়নের পালে হাওয়া দেওয়ার সবরকম লড়াই চালাচ্ছেন। অচিরেই এক উদাহরণ হয়ে উঠেছেন।


নিজে মেয়ে বলেই হয়তো গ্রামের মহিলাদের উন্নয়নে আলাদা নজর রয়েছে তাঁর। গ্রামের মহিলাদের বোঝাচ্ছেন চিরাচরিত সংসারের কাজের বাইরেও একটা জগত আছে। সেখানে শামিল হতে। কাজ শিখতে। কাজ করতে। নিজের পায়ে দাঁড়াতে।

সেইসঙ্গে গ্রামের কিশোরী, তরুণীদের নিয়ে তৈরি করেছেন একটি হকি দল। মহিলা হকি দল। শুধু একটা দল গড়েই ক্ষান্ত হননি। সেই হকি দলকে পেশাদার করে তুলতে গ্রামের একটি মাঠকে নিজের মাইনের টাকা ঢেলে হকি খেলার উপযুক্ত করে তুলেছেন।



হকির স্টিক থেকে শুরু করে যাবতীয় সরঞ্জাম কিনে দিয়েছেন। সেইসঙ্গে হকিটা যাতে গ্রামের মেয়েরা সঠিকভাবে শিখতে পারেন সেজন্য ১ জন হকি কোচকেও নিযুক্ত করেছেন।

হকির মাঠ তৈরি থেকে হকির সরঞ্জাম কেনা, কোচের মাইনে সবই তিনি নিজের মাইনে থেকে খরচ করছেন। গ্রামের মেয়েদের হকি দল তৈরি করতে নিজের সঞ্চয় ঢেলে দিচ্ছেন দুবার না ভেবে।

রাজস্থানের ঝুনঝুনুর লম্বি আহির গ্রামের গ্রাম প্রধান বা স্থানীয় ভাষায় সরপঞ্চ নীরু যাদবের এই হকি দল তৈরি করার লড়াই তাঁকে গ্রামে নতুন নাম দিয়েছে। গ্রামের মানুষের কাছে তিনি ‘হকিওয়ালি সরপঞ্চ’ নামেই পরিচিত।

সেইসঙ্গে জঞ্জালমুক্ত গ্রাম গড়ে তুলতে নীরু যাদবের একাধিক উদ্যোগ শুধু রাজস্থান বলেই নয়, গোটা ভারতে উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরা হচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button