National

পাকাপাকিভাবে বিখ্যাত এক পাহাড়ি গ্রামে থাকার ব্যবস্থা হচ্ছে জোশীমঠের বাসিন্দাদের

শতাব্দী প্রাচীন পাহাড়ি শহর জোশীমঠ প্রায় শেষ হতে বসেছে। সেখানকার বাসিন্দাদের আর সেখানে থাকা হবেনা। তাঁদের তাই এবার অন্য একটি গ্রামে পাকাপাকি থাকার ব্যবস্থা করছে সরকার।

সরকারি সব নথি যাবে বদলে। স্থায়ী ঠিকানা আর জোশীমঠ থাকছে না তাঁদের। পিতৃপুরুষের ভিটে আজ ধরণীর গ্রাসে চলে যাওয়ার অপেক্ষায়। অনেক জায়গাই নেমে গেছে। অনেক জায়গা নামতে চলেছে। তেমনই পূর্বাভাস।

ফলে ভারতের অন্যতম প্রসিদ্ধ শহর জোশীমঠ যাঁরা দেখেননি তাঁরা আর জীবনে দেখার সুযোগও পাবেন না। সেই শেষ হয়ে যেতে চলা জোশীমঠের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। ভিটেমাটি ছেড়ে তাঁদের চলে যেতে হচ্ছে জীবনের মতন।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

এমন ১৩০ থেকে ১৫০টি পরিবারকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে পাকাপাকি ঠিকানা দিতে চলেছে উত্তরাখণ্ড সরকার। একটি মিনি জোশীমঠ তৈরি হচ্ছে এক অতি পরিচিত পাহাড়ি গ্রামে।

উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার এই গ্রাম সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১ হাজার ২৬০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা এই গ্রামের ২ হেক্টর জমি জোশীমঠের ভিটে হারাদের স্থায়ী ঠিকানা হিসাবে দিয়েছে চামোলি জেলা প্রশাসন। চামোলির পিপলকোঠী গ্রামে এই স্থায়ী ঠিকানা পেতে চলেছেন জোশীমঠের বাসিন্দারা।

সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, জোশীমঠ থেকে ৩৬ কিলোমিটার দূরের এই পিপলকোঠী গ্রামে জোশীমঠের বাসিন্দাদের জন্য পাকা বাড়ি বানিয়ে দিতে চলেছে সরকার। এছাড়াও তাঁদের মোটা টাকা ক্ষতিপূরণও দিতে চলেছে সরকার। যাতে তাঁদের নতুন স্থায়ী ঠিকানায় উঠে আসার পর তা আরও সাজিয়ে নিতে পারেন।

আপাতত অস্থায়ীভাবে রাখা হয়েছে জোশীমঠের বাসিন্দাদের। প্রসঙ্গত উপগ্রহ চিত্র থেকে বিশেষজ্ঞদের কাছে এমন বার্তা স্পষ্ট যে জোশীমঠ পুরোটাই বসে যেতে চলেছে মাটির তলায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *