National

কথায় ভুলিয়ে হোটেলের ২৩ লক্ষ টাকার বিল না দিয়ে পালাল অতিথি

হোটেলে থাকার বিল না দিয়ে পালাল এক অতিথি। বিলের অঙ্ক নেহাত ছোটখাটো নয়। ২৩ লক্ষ টাকার বিল না দিয়ে পালাল ওই ব্যক্তি।

হোটেলে থাকার দৈনিক একটা খরচ রয়েছে। সেই খরচ বাড়তে থাকে যতদিন কেউ সেখানে থাকবেন তার ওপর। এই অর্থ হোটেল ছাড়ার আগে মিটিয়েও দেন অতিথি।


বেশিদিন থাকলে মাঝে মাঝে বিলের অঙ্ক মিটিয়ে দেন। কিন্তু এই ব্যক্তি ৩ মাস ধরে হোটেলে রইল। তারপর একদিন চম্পটও দিল।

মাঝে থাকার খরচ বাবদ ১১ লক্ষ টাকা মিটিয়েও দেয়। কিন্তু তারপরেও তার ২৩ লক্ষ টাকা বাকি ছিল। সে একটি ২০ লক্ষ টাকার চেকও দেয়। এমনই দাবি করেছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সে পালানোর পর দেখা যায় সেই চেক বাউন্স করেছে।


ওই ব্যক্তি হোটেলে ওঠার সময় জানিয়েছিল সে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর একজন উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক। দিল্লিতে থেকে কাজ সারবে। আর সেই পুরো সময়টা সে ওই হোটেলেই থাকবে।

নিজের বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করতে নিজের দেশের একটি রেসিডেনসিয়াল কার্ডও হোটেলে জমা দেয় সে। জমা দিয়েছিল বেশ কিছু অন্য নথিও। যাতে তাকে নিয়ে কোনও সন্দেহ কারও না হয়। কিন্তু পরে জানা যায় সব কাগজই ছিল ভুয়ো।

দিল্লির সরোজিনী নগরের হোটেল লীলা প্যালেসে ওই ব্যক্তি থাকতে শুরু করে গত বছরের পয়লা অগাস্ট থেকে। হোটেল কর্তৃপক্ষ তার কাগজপত্র, ব্যবহার সবেতেই এতটা মুগ্ধ ছিল যে তার কাছে টাকার জন্য চাপও তৈরি করেনি।

গত বছরের ২০ নভেম্বর আচমকাই হোটেল কর্তৃপক্ষ জানতে পারে যে মহম্মদ শরিফ নামে ওই ব্যক্তি হোটেল থেকে পালিয়েছে। দ্রুত চেক ক্লিয়ার করতে গিয়ে দেখা যায় চেক বাউন্স করেছে। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ওই ব্যক্তির হদিশ পাওয়ার চেষ্টা করছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button