National

হাসপাতালের আইসিইউ-র সামনে রীতি মেনে বিয়ে করলেন যুবক যুবতী

রীতি মেনেই হল বিয়ে। হতে পারে হয়তো সাজ পোশাক বর কনের একদম পরিপাটি ছিলনা। হাসপাতালের আইসিইউ-র সামনে এর চেয়ে বেশি কিবা হতে পারে!

হাসপাতালের আইসিইউ। যেখানে রোগীর আত্মীয়দেরও নানা নিয়ম মেনেই পৌঁছতে হয়। অনেক সময় প্রবেশাধিকারও মেলেনা। মিললেও দূর থেকে ১ জন হয়তো দেখার সুযোগ পেলেন আপনজনকে।


এমন এক অতি সুরক্ষিত স্থানে যেখানে থাকা রোগীরা সাধারণভাবে জীবন ও মৃত্যুর মাঝে পাঞ্জা কষে চলেন, চিকিৎসকেরা দিনরাত এক করে লড়াই চালান রোগীকে বাঁচানোর, সেখানে বিয়ের আসর! শুনলে চমকে ওঠার মত হলেও এটাই হল। হাসপাতালের আইসিইউ-র সামনেই বিয়ে হল এক যুবক যুবতীর।

ঘটনাটি এক মহিলার যমে মানুষে টানাটানি পরিস্থিতি থেকে শুরু। তাঁর মেয়ের বিয়ের সব ঠিকঠাক হয়ে গিয়েছিল। বিয়ের কথা ছিল ২৬ ডিসেম্বর। সব আয়োজনও হয়ে গিয়েছিল।



কিন্তু তার মধ্যেই মেয়ের মা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। ক্রমশ শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। চিকিৎসকেরা কার্যত আশা ছেড়ে দেন। যে কোনও সময় তাঁর মৃত্যু হতে পারে বলেও অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যান পরিবারের মানুষজন।

বিষয়টি নিজেও আন্দাজ করতে পারেন আইসিইউ-তে শোওয়া পুনম কুমারী বর্মা। তিনি মেয়ে চাঁদনি ও পরিবারের লোকজনকে জানান তাঁর শেষ ইচ্ছা হল তিনি মেয়ের বিয়ে দেখে যেতে চান।

চাঁদনির সঙ্গে স্থির করা পাত্রেরই বিয়ে হবে। তবে তা হতে হবে মৃতপ্রায় মায়ের সামনে। ২ পরিবার রাজি হয়ে যায় প্রস্তাবে। হাসপাতালকেও অনেক করে বোঝানো হয়।

হাসপাতালের তরফে আইসিইউ-র সামনে বিয়ের আয়োজন করতে দেওয়া হয়। তবে ২ পরিবারের ২ থেকে ৪ জন মোট সেখানে থাকতে পারেন।

মালাবদল করে বিয়েটাও হয়। সেই বিয়ে নিজে চোখে দেখেন পুনম। আর বিয়ের মাত্র ২ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। শোক বিহ্বল পরিবারের এখন একটাই শান্তি, অন্তত বৃদ্ধার শেষ ইচ্ছাটি পূরণ করতে পেরেছেন তাঁরা। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের গয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button