National

ডিভোর্স দিতে স্ত্রীর শরীরে এমন জিনিস ঢোকাতেও হাত কাঁপল না স্বামীর

ডিভোর্স দিতে একটা যুতসই কারণ দরকার। সেজন্য স্ত্রীর শরীরে এমন জিনিস ঢুকিয়ে দিতেও হাত কাঁপল না স্বামীর। তবে ধরা পড়ে গেল জারিজুরি।

স্ত্রী এখন সন্তানসম্ভবা। দ্বিতীয় সন্তানের মা হতে চলেছেন তিনি। কিন্তু স্ত্রীর সঙ্গে আর থাকতে চাইছিল না স্বামী। তাঁকে নিজের জীবন থেকে ছেঁটে ফেলতে নানা রকম ফন্দি আঁটছিল মনে মনে। অবশেষে একটা মতলবও বার করে।


সেইমত এক ভুয়ো চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে স্ত্রীকে নিয়ে তার কাছে যায়। স্ত্রীকে বলেন, সন্তানসম্ভবা অবস্থায় একটি ইঞ্জেকশন তাঁকে দিতে হবে। যা তাঁকে আরও সুস্থ সবল রাখতে সাহায্য করবে। তারপর স্ত্রীর শরীরে সেই ইঞ্জেকশন প্রবেশ করায় ভুয়ো চিকিৎসক।

সন্তানসম্ভবা ওই মহিলা এরপর হাসপাতালে যান তাঁর নিয়মিত পরীক্ষা করাতে। সেখানে তাঁর রক্ত পরীক্ষার পর তাঁকে হাসপাতাল থেকে জানানো হয় তিনি এইচআইভি পজিটিভ। তিনি এইচআইভি আক্রান্ত!



শোনার পর মাথায় বাজ ভেঙে পড়ে তাঁর। কীভাবে তা সম্ভব! মহিলা পরে বুঝতে পারেন এসবই তাঁর স্বামীর কারসাজি। তাঁকে ডিভোর্স দিতে একটা যুতসই কারণ দরকার ছিল স্বামীর।

স্ত্রী এইচআইভি পজিটিভ দেখিয়ে তাঁকে বদনামের ভাগি করে ডিভোর্সের রাস্তা সুগম করতে চাইছিল স্বামী। তাই ওই ভুয়ো চিকিৎসকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সেই এইচআইভি আক্রান্তের রক্ত তাঁর শরীরে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রবেশ করিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করে পুলিশের দ্বারস্থ হন স্ত্রী।

পুলিশ তদন্তে নেমে এও জানতে পারে যে স্ত্রীকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্যও চাপ দিচ্ছিল অভিযুক্ত স্বামী এম চরণ। পুলিশ স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে এম চরণকে গ্রেফতার করেছে। তদন্ত চলছে। ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের অমরাবতীতে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button