National

পরিচারিকাকে বাঁচানোয় মায়ের কাছে মানসিক রোগীর তকমা পেলেন ছেলে

পরিচারিকাকে বাঁচানোই কি তাহলে তাঁর জন্য কাল হল! নিজের মা-ই তাঁর গায়ে পাগল তকমা সেঁটে দিলেন। এক নেত্রীর এই কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

নিজের ছেলেকে পাগল ঘোষণা করে দিলেন বিজেপি নেত্রী। ছেলেকে মোটা লোহার চেন দিয়ে বেঁধেও রাখলেন। তারপর তাঁকে মানসিক রোগীদের চিকিৎসাকেন্দ্রে পাঠিয়েও দিলেন। আর এ সব কিছুই হল ছেলে তাঁদের বাড়িতে গৃহকর্ম করা পরিচারিকাকে বাঁচানোর চেষ্টা করায়।

তবে কি নিজের বদনাম প্রকাশ্যে আসা রুখতেই নেত্রীর এই কাজ! নিজের ছেলেকে পাগল তকমা সেঁটে তাঁকে মানসিক রোগীদের হাসপাতালে পাঠাতেও তিনি পিছপা হলেন না? প্রশ্ন উঠছে।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

ঝাড়খণ্ডের বিজেপি নেত্রী সীমা পাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি তাঁর বাড়ির পরিচারিকার ওপর অত্যাচার করতেন। তাঁর ওপর নির্যাতন করতেন। পরিচারিকার ওপর মায়ের এই অত্যাচার মেনে নিতে পারেননি ছেলে আয়ুষ্মান। তিনি রুখে দাঁড়ান এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে।

পরিচারিকার পাশে দাঁড়িয়ে মায়ের কার্যকলাপের প্রতিবাদ করেন। মনে করা হচ্ছে এটাই তাঁর জন্য মুশকিলের কারণ হয়েছে। তাঁর মানসিক রোগীদের হাসপাতালে স্থান হয়।

পরিচারিকা সুনিতা আদালতে জানিয়েছেন, তাঁকে গরম তাওয়া দিয়ে ছেঁকা দেওয়া হত। লোহার রড দিয়ে মেরে তাঁর ২-৩টি দাঁত ভেঙে দেওয়া হয়। চলত মারধর। খেতে দেওয়া হতনা। আর তা যে সীমা পাত্রই করতেন তাও তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন।

এরপরেও কেন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি তা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

পুরো বিষয়টি জানাজানি হতে ছেলেকে দ্রুত রাঁচির ইন্সটিটিউট অফ নিউরো সাইকিয়াট্রি অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস থেকে ছাড়িয়ে আনেন সীমা পাত্র। সীমা পাত্রর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ঝাড়খণ্ড বিজেপিকে যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *