National

কুড়িয়ে পাওয়া হিরের ছোঁয়ায় রাতারাতি বদলে গেল দরিদ্র কাঠকুড়ানির ভাগ্য

এ কাহিনি শুনলে মনে হবে যেন কোনও বাংলা ছোটগল্প পড়ছেন। যা শেষ হয় এক কাঠকুড়ানির রাতারাতি ভাগ্য বদলের মধ্যে দিয়ে।

অতিদরিদ্র পরিবারের এক মহিলার দিন গুজরানের একমাত্র পথ জঙ্গল থেকে কাঠ কুড়িয়ে আনা। উনুন জ্বালাতে নয়। তিনি ওই গাছের ডাল কুড়িয়ে এনে বিক্রি করে যে সামান্য অর্থ রোজগার করেন তা দিয়ে কষ্টে শিষ্টে পরিবারের দিন চলে যায়।

অন্য দিনের মত গত বুধবারও তিনি গিয়েছিলেন গ্রামের কাছের জঙ্গলে কাঠ কুড়োতে। গাছের শুকনো ডাল এক করায় ব্যস্ত ওই মহিলা দূরে দেখতে পার একটা কিছু চকচক করছে। তিনি সেটির কাছে যান। তবে নিশ্চিত ছিলেননা যে ওটা কি!


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

তিনি জঙ্গল থেকে ওই পাথরটি সঙ্গে করে ফিরে আসেন। তারপর সোজা সেটি নিয়ে হাজির হন ডায়মন্ড অফিসে। যেখানে হিরে পরখ করা এবং তা সরকার পর্যন্ত পৌঁছনোর কাজ হয়। সেখানে তিনি কুড়িয়ে পাওয়া চকচকে পাথরটি দেখান।

আধিকারিকরা সেটি পরীক্ষা করার পর মহিলাকে জানান তিনি যা পেয়েছেন তা যে সে জিনিস নয়, একদম আসল হিরে। ৪.৩৯ ক্যারেটের খাঁটি হিরে তাঁর কপাল খুলে দিয়েছে।

আধিকারিকরা জানান ওই হিরে তাঁরা ওই মহিলার কাছ থেকে সংগ্রহ করেছেন। নিয়ম মেনে সেটির নিলাম হবে। তারপর যে অর্থ পাওয়া যাবে তার থেকে সরকারি রয়্যালটি এবং কর কেটে যা থাকবে তা ওই মহিলার হাতে তুলে দেওয়া হবে।

আধিকারিকদের ধারনা ওই হিরে নিলাম হলে ২ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা পাওয়াই যাবে। যার একটা বড় অংশ যাবে ওই মহিলার কাছে। হত দরিদ্র ওই রমণী এখন কার্যত খবরে পরিণত হয়েছেন। রাতারাতি ভাগ্যের চাকা ঘুরে গেছে তাঁর।

ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায়। যা হিরের খনির জন্য বিখ্যাত। এমনভাবে আগেও স্থানীয় কয়েকজনের ভাগ্য বদলে গেছে কুড়িয়ে পাওয়া হিরের টুকরোয়।

গত জানুয়ারিতে এভাবেই এখানকার এক ইট ভাটার কর্মী ২৬.১১ ক্যারেটের একটা হিরে পান। যা বিক্রি হয় ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *