National

ফসল বাঁচাতে জমিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে ভাল্লুক, পালাচ্ছে বাঁদর, শুয়োর

ফসল পেকে এসেছে। এই অবস্থায় তা রক্ষা করতে এবার ভাল্লুকে ভরসা রাখলেন এক কৃষক। তাঁর জমিতে প্রতিদিন নিয়ম করে ঘুরছে স্লথ ভাল্লুক।

ফসল পাকার সময় হয়ে এসেছে। কিন্তু সে ফসল ঘরে তুলতে পারলে তবেই না মুনাফা। তা যদি জমিতেই তছনছ হয়ে যায় তাহলে লাভ কি! কিন্তু যে তাণ্ডব স্থানীয় বাঁদররা শুরু করেছিল তাতে কতটা ফসল রক্ষা করা যাবে তা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন এক কৃষক।

শুধুই কি বাঁদর, তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বন্য শুয়োররা যখন তখন ক্ষেতে ঢুকে ফসল তছনছ করছিল। কাকতাড়ুয়া দিয়ে কোনও কাজ হয়নি। মোটেও কাকতাড়ুয়াদের ভয় পায়না বাঁদর বা শুয়োররা।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

কাকতাড়ুয়ার জায়গায় মানুষের মত দেখতে পুতুল রেখেছিলেন ওই কৃষক। কিন্তু তাতেও এতটুকু ডরানো যায়নি বাঁদর, শুয়োরদের। এবার তাই স্লথ ভাল্লুক বেছে নিলেন ওই কৃষক।

তেলেঙ্গানার সিদ্দিপেট জেলার নাগাসামুদরালা গ্রামের কৃষক ভাস্কর রেড্ডি তাঁর ফসলকে রক্ষা করতে এক সাজানোর পোশাকের ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁকে একটি স্লথ ভাল্লুকের পোশাক তৈরি করে দিতে বলেন। এজন্য ১০ হাজার টাকা খরচ হয় তাঁর।

এখানেই শেষ নয়, ওই পোশাক পরে তাঁর জমিময় ঘুরে বেড়ানোর জন্য ৫০০ টাকা দৈনিক মজুরিতে এক ব্যক্তিকে কাজে লাগান ওই কৃষক। ওই ব্যক্তির কাজ হয় সারাদিন ভাল্লুকের পোশাক পরে ভাস্কর রেড্ডির জমিতে ঘুরে বেড়ানো।

এতে কিন্তু কাজ হয়েছে ম্যাজিকের মত। ওই জমির ত্রিসীমানার মধ্যে এখন ঘেঁষছে না বাঁদর থেকে বন্য শুয়োর। টাকা খরচ হয়েছে ঠিকই, কিন্তু ফসল ঠিকঠাক থাকায় খুশি ভাস্কর রেড্ডি। এমনকি তাঁর ভাবনাকে হাতিয়ার করে ফসল বাঁচানোর কথা ভাবতে শুরু করেছেন অন্য কৃষকরাও। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *