National

দেশের প্রথম ডিজিটাল ভিখারি, গলায় ঝোলে কিউআর কোড

তাঁকেই মনে করা হচ্ছে দেশের প্রথম ডিজিটাল ভিখারি। আর পাঁচটা ভিখারির মতই তিনি ভিক্ষা চান। তবে ভিক্ষা দিতে চাইলে দেওয়া যায় ডিজিটালিও।

দেশে যে ডিজিটাল অর্থ লেনদেন কোন উচ্চতা ছুঁয়েছে তা বোঝা যায় রাজু প্যাটেলকে দেখলে। রাজুর সারাদিন কাটে মানুষের কাছে ভিক্ষা চেয়ে। ভিক্ষা থেকে পাওয়া অর্থেই তাঁর দিন গুজরান হয়।

দেশের হাজার হাজার ভিখারির মতই তাঁর করুণ গাথা। তবে তিনি অন্য ভিখারিদের চেয়ে অনেক আলাদা। আলাদা তাঁর অভিনব ভাবনায়। আলাদা তাঁর বাস্তববাদী ও সময়োচিত পদক্ষেপে। যার হাত ধরে তিনি এখন খবরের শিরোনামে।

রাজু রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষা পাত্র হাতেই ভিক্ষা চেয়ে বেড়ান। তবে ভিক্ষা চাওয়ার সময় তিনি সাফ জানিয়ে দেন, যদি কেউ কয়েন বা টাকায় ভিক্ষা দিতে চান দিতেই পারেন, আর যদি তা সঙ্গে না থাকে বা এভাবে ভিক্ষা দিতে না চান, তাহলে তাঁকে গুগল পে, ফোন পে, পেটিএম-এর মত ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমেও ভিক্ষা দান করতে পারেন।

রাজু তাঁর গলায় এজন্য ঝুলিয়ে রাখেন গুগল পে, ফোন পে বা পেটিএম-এর কিউআর কোড। যা স্ক্যান করে যে কেউ চাইলে ইচ্ছা মত অর্থ ভিক্ষাদান করতে পারেন। ডিজিটাল ইন্ডিয়ায় এও এক প্রাপ্তি বৈকি!

কেন এমন ভাবনা? রাজু একটি হিন্দি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি দেখতেন ভিক্ষা চাইলে অনেকেই এড়িয়ে যাওয়ার জন্য বলতেন সঙ্গে খুচরো টাকা নেই।

বিহারের পশ্চিম চম্পারণ জেলার বাসিন্দা রাজু একদিন সোজা হাজির হন স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার একটি শাখায়। সেখানে একটি অ্যাকাউন্ট খোলেন। তারপর ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমের অংশ হন।

নিজের কিউআর কোড নেন। এখন তাঁকে ভিক্ষা দেওয়ার জন্য সবসময় পকেটে খুচরো থাকার দরকার নেই। গুগল পে, ফোন পে বা পেটিএম থাকলেই চলবে। তবে কি রাজুর দেখানো এই পথই ভবিষ্যতের ভিক্ষাদান পদ্ধতি হতে চলেছে? হতেও পারে!

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *