National

স্টেশনে ভিক্ষা করা তরুণী আজ চালাচ্ছেন ক্যাফেটেরিয়া

তাঁর জীবনে উত্থান কোনও কাহিনির চেয়ে কম নয়। মনের জোর আর কঠোর পরিশ্রমে কোথা থেকে কোথায় যাওয়া যায় তার জ্বলন্ত উদাহরণ জ্যোতি।

ছোটদের জন্য এই ১৯ বছর বয়সেই তিনি হয়ে উঠেছেন এক রোল মডেল। তাঁর উত্থান ও লড়াইয়ের কথা ছোটদের উজ্জীবিত করার জন্য যথেষ্ট।

ইচ্ছাশক্তি আর কঠিন পরিশ্রম করতে পারলে কোনও বাধাই যে বাধা নয় তা ফের একবার প্রমাণ করলেন ১৯ বছরের জ্যোতি। তাঁর জীবনের কাহিনি কোনও উপন্যাসের চেয়ে কম নয়।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

দুধের শিশু অবস্থায় তাঁকে রেলস্টেশনে ফেলে গিয়েছিলেন তাঁর বাবা-মা। কিন্তু কে তাঁরা? তা জানা নেই জ্যোতির। কেউই জানেন না জ্যোতির আসল বাবা মা কে।

ফেলে যাওয়া দুধের শিশুটি রেলস্টেশনের এক কোণায় পড়ে কাঁদছে দেখে পাটনা রেলস্টেশনেই ভিক্ষা করে জীবন কাটানো এক ভিক্ষুক দম্পতি তাকে বড় করার দায়িত্ব নেন। তাঁরাই শিশুটিকে বড় করতে থাকেন। রেলস্টেশনেই বড় হতে থাকেন জ্যোতি।

ছোট থেকে তিনি পাটনা স্টেশনে ভিক্ষা করতে শুরু করেন। যেদিন ভিক্ষা করে হাতে কম টাকা আসত সেদিন আরও রোজগারের জন্য আশপাশের কাগজ কুড়িয়ে বেড়াতেন তিনি। এই চরম পরিস্থিতির মধ্যে থেকেও স্বপ্ন দেখতে ভোলেননি জ্যোতি।

স্থির করেছিলেন তিনি লেখাপড়া করবেন। তাঁর ইচ্ছাকে সাহায্য করে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। পড়াশোনা শুরু করেন জ্যোতি। আর ম্যাট্রিকে তিনি রেকর্ড নম্বর নিয়ে পাশও করেন।

এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। পাটনাতেই একটি ক্যাফেটেরিয়া চালাচ্ছেন এই উদ্যমী তরুণী। এখানেই থেমে থাকতে রাজি নন তিনি। আরও স্বপ্ন সফল করতে চান তিনি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *