National

পাহাড়ের ভূত নামেই পরিচিতি, দেখা মিলল অতিবিরল প্রাণির

এ প্রাণি যে আদৌ দেখা যাবে তা সাধারণ মানুষের ভাবনার অতীত। অতি ভাগ্যবান না হলে তাদের দেখা মেলেনা। তাদেরই দেখা মিলল পাহাড়ের অনেক উঁচুতে।

‘ঘোস্ট অফ দ্যা মাউন্টেনস’, বাংলায় যার মানে দাঁড়ায় পাহাড়ের ভূত। তাদের সেই নামেই ডাকা হয়। যেখানে গাছও জন্মায় না, পাহাড়ের সেই উচ্চতায় বরফের মধ্যে থাকতে পছন্দ করে তারা।

খাড়াই পাহাড়, পিচ্ছিল বরফে ঢাকা অতি দুর্গম এলাকায় পরিবার নিয়ে বাস তাদের। কিন্তু বিশ্বের প্রাণিকুলের তালিকায় তারা অতিবিরল প্রজাতি হিসাবেই সকলের জানা। এদের দেখা মেলাই এখন ভাগ্যের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তারা যে হিমালয়ে রয়েছে তাই ঠিক করে জানা ছিলনা। অবশেষে তাদের দেখা মিলল হিমাচল প্রদেশের বরফ ঢাকা স্পিতি উপত্যকার কাজা এলাকার লেংচা-কাজা রোডের কাছে। এখানেই অজয় বানিয়াল নামে এক সরকারি আধিকারিকের নজরে পড়ে তারা। মা তার ২ সন্তানকে নিয়ে চলেছে।

সময় নষ্ট করেননি অজয় বানিয়াল। বুঝতে সময় লাগেনি কাদের দেখা তিনি পেয়েছেন। তিনি ভাগ্যবান। দ্রুত পকেট থেকে মোবাইল ক্যামেরা বার করে ক্যামেরাবন্দি করেন সেই অতিবিরল প্রাণিদের। যাদের পরিভাষায় মানুষ চেনেন স্নো লেপার্ড নামে।

হিমালয়ে যে স্নো লেপার্ড অবশিষ্ট রয়েছে তাই স্পষ্ট করে জানা ছিলনা। কিন্তু অজয় বানিয়ালের ছবি প্রমাণ করে দিল হিমালয় তো বটেই, এমনকি তারা ভারতীয় ভূখণ্ডেই পুরু বরফ ঢাকা উঁচু পাহাড়ের ঢালে পরিবার নিয়ে বহাল তবিয়তে বিরাজ করছে।

অজয় বানিয়াল জানিয়েছেন তিনি গত আড়াই বছর স্পিতি উপত্যকায় কর্মসূত্রে রয়েছেন। তিনি এই আড়াই বছরে বারবার চেষ্টা করেছেন পাহাড়ে যদি স্নো লেপার্ডের দেখা পান। কিন্তু পাননি। অবশেষে তিনি সেই বিরল দর্শন পেলেন। তা ক্যামেরাবন্দিও করলেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button