National

ছাত্রকে বিয়ে করে গারদের পিছনে যেতে হল প্রেমে হাবুডুবু শিক্ষিকাকে

এমন ঘটনা বড় একটা শোনা না গেলেও ঘটল। তাঁর ছাত্রের প্রেমে পড়ে তাঁকে বিয়ে করেন এক শিক্ষিকা। তার জেরে তাঁকে এখন থাকতে হচ্ছে গারদের পিছনে।

২ বছর আগের কথা। তখনও তিনি শিক্ষিকা হয়ে ওঠেননি। শিক্ষিকা হওয়ার তালিম চলছিল। সেই কারণে তাঁকে একটি সরকারি স্কুলে কয়েকদিনের জন্য ক্লাস নিতে পাঠানো হয়েছিল।

সেখানে এক ছাত্রের প্রেমে পড়ে যান তিনি। এরপর তিনি শিক্ষিকা হন। একটি স্কুলে পড়াতে শুরু করেন। কিন্তু ওই ছাত্রের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক থেকে যায়নি। ২ জনের চুটিয়ে প্রেমপর্ব চলতে থাকে গোপনে।

২ বছর পর গত অক্টোবর মাসে ওই ছাত্রকে বিয়ে করেন ওই শিক্ষিকা। যদিও ২ জনের পরিবারই বিষয়টি জানত না। লুকিয়ে ২ জনে বিয়ে করার পর ওই ছাত্র তার সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীকে নিয়ে হাজির হয় তার দিদার বাড়িতে।

কিন্তু বাড়িতে সে সময় কেউ ছিলেন না। চাবি কোথায় থাকে তা ওই ছাত্রের জানা ছিল। শিক্ষিকার সঙ্গে ঘরে ঢুকে একান্তে সময় কাটায় ওই ছাত্র।

এদিকে সন্ধে গড়িয়ে এলেও ছেলে বাড়ি না ফেরায় তার মোবাইলে ফোন করেন ছাত্রের মা। ছাত্র ফোনে মাকে জানায় সে তার শিক্ষিকাকে ভালবাসে। তারা বিয়ে করে একসঙ্গেই এখন রয়েছে।

এটা শোনার পর ছাত্রের মা সাফ জানিয়ে দেন এ ধরনের কার্যকলাপ তাঁর পরিবার মেনে নেবে না। একথা শোনার পর ছাত্র ও তার শিক্ষিকা স্ত্রী স্থির করে তারা জীবন শেষ করে ফেলবে।

২ জনে বিষ পানও করে। কিন্তু বিষ পান করার পর ছাত্রের সুবুদ্ধির উদয় হয়। সময় মত স্কুটারে স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছয় সে। দিন ১৫ চিকিৎসায় থাকার পর তারা সুস্থ হয়।

কয়েকদিন আগে ওই ছাত্রের বাবা পুলিশে একটি অভিযোগ দায়ের করেন ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। অভিযোগে তিনি জানান তাঁর ছেলের বয়স ১৭। তার এখনও বিয়ের বয়স হয়নি। তবু তাকে জোর করে বিয়ে করেছেন ওই শিক্ষিকা।

পুলিশ অভিযোগ পেয়ে ওই শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করে। আপাতত জেল হেফাজতে রয়েছেন ওই শিক্ষিকা। ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর পেরামবালুর জেলায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *