National

হাঁটুজলে নেমে মাছ ধরছেন শয়ে শয়ে মানুষ, কিন্তু খাবার জন্য নয়

চারিদিকে স্থানীয় মানুষের ভিড়। কেউ বালতি নিয়ে হাজির। কেউ গামলা নিয়ে। সকলেই মাছ ধরছেন জাল দিয়ে। কিন্তু একজনও খাবার জন্য মাছ ধরছেন না।

হাঁটু অবধি গোটানো রয়েছে প্যান্ট। সকলেই জলে নেমে পড়েছেন। পুরো দিঘি জুড়েই জল বলতে হাঁটু বা তার চেয়ে কিছু ওপর পর্যন্ত। যেখানে অনায়াসে দাঁড়ানো যায়।

হাতে রয়েছে ছোট ছোট জাল। তাতে করেই জল থেকে তাঁরা তুলে নিচ্ছেন মাছ। বলা ভাল খাবি খেতে থাকা মাছ। জলের অভাবে তাদের তখন প্রায় প্রাণ যায়।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

সেসব মাছকে জালে তুলতে বেশি বেগ পেতে হচ্ছেনা। জালে তুলে তা তাঁরা রেখে দিচ্ছেন সঙ্গে আনা গামলা বা বালতিতে। কয়েকটা মাছ ধরা পড়লেই অন্য কেউ সেই বালতি বা গামলা নিয়ে ছুট লাগাচ্ছেন। মাছগুলোকে ফেলে আসছেন আশপাশের দিঘি বা পুকুরে।

চারধারে সবুজ বনানী আর হিমালয়ের চোখ জুড়োনো পরিবেশে হিমাচল প্রদেশের ম্যাকলিয়ডগঞ্জে ধৌলাধর পর্বতমালার পাদদেশে রয়েছে একটি দিঘি। নাম শুনে কিছুটা অবাক লাগতে পারে। নাম ডাল লেক। তবে এ ডাল লেক কাশ্মীরের নয়।

এর পাশেই ছিল একটি শিব মন্দির। যার জন্য বিগত ২০০ বছর ধরে এই ডাল লেককে পবিত্র লেক হিসাবে ধরে নেওয়া হয়। তাই এই লেকের মাছ কেউ খান না।

গত ১০ বছর ধরে এই লেক শীত পড়লেই শুকিয়ে যায়। শুকিয়ে হাঁটুজলের লেকে পরিণত হয়। ফলে লেকের মাছদের জীবন বিপন্ন হয়। তাদের বাঁচাতে প্রতি বছরই লেকের জল কমলে সেখানে নেমে পড়েন স্থানীয়রা। উদ্দেশ্য একটাই। মাছগুলোকে বাঁচানো।

এভাবে সারাদিন ধরে লেকের জলে খাবি খেতে থাকা মাছদের ধরে দ্রুত আশপাশের অন্য লেক বা অন্য জলাধারে ফেলে দেন স্থানীয়রা। যাতে মাছগুলো বেঁচে যায়।

এদিকে শীত এলেই লেকের এই হাল হওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের হেলদোলহীন মানসিকতাকেই দায়ী করেছেন স্থানীয়রা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *