আত্মঘাতী হতে চাওয়া ছাত্রী পরীক্ষায় পেল প্রথম স্থান
আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল সে। পরীক্ষায় বসতে পারবেনা, একথা সে মেনে নিতে পারছিলনা। সেই মেয়েই পরীক্ষায় বসে পেল প্রথম স্থান।
![National News](https://www.nilkantho.in/wp-content/uploads/2021/10/national-news-5.jpg)
জীবনে হঠকারিতা কেবল অন্ধকার ডেকে আনে। আবার পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই একটা সোনালি দিনও উপহার দিতে পারে। সেটা কৈশোরে বুঝতে না পেরে এক হঠকারী সিদ্ধান্ত নিতে যাওয়া যে কত বড় ভুল তা জীবন শিখিয়ে দিল এক ছাত্রীকে।
দশম শ্রেণির পরীক্ষায় সে বসতে পারবেনা। তাকে হল টিকিট দেওয়া হবে না। একথা জানতে পেরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে গ্রীসমা নামে এক মেধাবী ছাত্রী।
কর্ণাটকে এসএসএলসি পরীক্ষা বা দশম শ্রেণির পরীক্ষা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। নবম শ্রেণিতে গ্রীসমা ৯৫ শতাংশ নম্বর পায়। কিন্তু পরীক্ষার ফি সময়ে জমা করতে না পারায় এসএসএলসি পরীক্ষায় সে বসতে পারবেনা বলে জানতে পারে।
যা তাকে এতটাই মানসিক দিক থেকে বিপর্যস্ত করে দেয় যে সে আত্মহত্যা করতেও যায়। কিন্তু সময়মত চিকিৎসা তার প্রাণ বাঁচিয়ে দেয়।
একথা জেনে তার বাড়িতে সরাসরি হাজির হন কর্ণাটকের শিক্ষামন্ত্রী। তিনি গ্রীসমাকে এসএসএলসি সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেন।
সেই পরীক্ষার ফলাফল সামনে এল এবার। ৫৩ হাজার ১৫৫ জন পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষা দিয়েছিল। ৬২৫ নম্বরের পরীক্ষা হয়েছিল। যার মধ্যে গ্রীসমা ৫৯৯ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। এই সাফল্যের পর শিক্ষামন্ত্রী নিজে গ্রীসমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
জুলাই মাসে যে মেয়েটা নিজেকে শেষ করে দিতে যাচ্ছিল, সে অক্টোবরে মনে মনে হয়তো আক্ষেপ করছে এটা ভেবে যে সেদিন নিজেকে শেষ করে দিলে এই খুশির দিনটা তার দেখা হতনা। জীবন তাকে শিখিয়ে দিল জীবনে সব শেষ বলে কিছু হয়না। লড়াইটাই আসল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা