এক অতিমারিতে রক্ষে নেই, দোসর ট্যুইনডেমিক
এক করোনা সামাল দিতে গোটা বিশ্ব হিমসিম খাচ্ছে। তার মধ্যেই এবার অন্য চিন্তার কথা শোনালেন গবেষকেরা। ট্যুইনডেমিকের চিন্তা বাড়ছে।
![Baby](https://www.nilkantho.in/wp-content/uploads/2020/11/baby.jpg)
বিশ্বজুড়ে করোনার দাপট কিন্তু এখনও কমেনি। যদিও তাতে লাগাম দিতে করোনা প্রতিষেধক টিকাকরণ চলছে জোরকদমে। তার মধ্যেই অন্য চিন্তার কথা শোনালেন গবেষকেরা। শীত আসার আগেই তাঁরা তাঁদের সতর্কবার্তা শুনিয়ে দিয়েছেন। আর যার প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়তে পারে শিশুদের ওপর।
শীতে প্রতিবছরই আমেরিকায় শয়ে শয়ে শিশু আরএস ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। এমন পরিস্থিতিও হয় যে তাদের কাউকে কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।
গতবছর আমেরিকার একটা বড় অংশ লকডাউনে ছিল। এছাড়া সকলেই প্রায় মাস্ক পরা বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মত দিকগুলি মেনে চলার চেষ্টা করছিলেন। ফলে গত বছর আমেরিকায় শীতের ফ্লু সেভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি।
এবার কিন্তু সে পরিস্থিতি নয়। জীবন গত বারের চেয়ে সচল। ফলে ফ্লু ফের মাথাচাড়া দেবে বলে আগেভাগেই সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
তাই এবার শীতে একা করোনা নয়, তার সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছে ফ্লুয়ের দাপট বলে সতর্ক করেছেন তাঁরা। যাকে তাঁরা বলছেন ট্যুইনডেমিক।
আমেরিকায় তাই দ্রুত ফ্লুয়ের টিকা নেওয়ার কথাও বলা হচ্ছে। কারণ শিশুরা তো বটেই বড়রাও সমানভাবে প্রতিবছর শীতে ফ্লুয়ে আক্রান্ত হন।
বিজ্ঞানীরা একথাও বলছেন যে গত বছর মাস্ক ঠিকঠাক ব্যবহার বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টার মত পরিস্থিতি রাখতে পারলে ফ্লুকেও প্রতিরোধ করা সম্ভব।
কিন্তু বাস্তবে বোধহয় তা সম্ভব নয়। কারণ জীবন যত করোনা সংকট কাটিয়ে সচল হতে থাকবে ততই পরিস্থিতিতে বদল হতে থাকবে। তাই আপাতত আমেরিকার সবচেয়ে বড় চিন্তা ট্যুইনডেমিক ঠেকানো। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা