National

মুখ্যমন্ত্রীর মন্দির বানিয়েও এখন তা বিক্রি করতে চাইছেন হতাশ ভক্ত

মনে প্রাণে ভালবাসতেন মুখ্যমন্ত্রীকে। এককথায় অন্ধ ভক্ত বলতে যা বোঝায় তিনি তাই ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর মন্দির বানিয়েও এখন তা বিক্রি করতে চাইছেন তিনি।

২০১৬ সালের কথা। তখন তাঁর বাড়ির সামনেই একটি জায়গা নিয়ে সেখানে তৈরি করেছিলেন একটি মন্দির। সে মন্দিরে দেবতার আসনে তিনি বসান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাওকে। যিনি তাঁর রাজ্য তো বটেই এমনকি দেশেও কেসিআর নামে খ্যাত।


গুণ্ডা রবিন্দর নামে ওই ব্যক্তি একসময় তেলেঙ্গানা আন্দোলনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। তিনি ছিলেন কেসিআর-এর অন্ধ ভক্ত।

তাই মন্দিরে কেসিআর-এর শ্বেত পাথরের মূর্তি তৈরি করে পুজো করতেন রবিন্দর। তাঁর পরিবারের সকলেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অন্ধ ভক্ত ছিলেন। অনেক মানুষ এই মন্দির দেখতে আসতেন।



৫ বছর পার করে এখন সেই রবিন্দরই আর নিতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওকে। তিনি সাফ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি যে শ্রদ্ধা তাঁর ছিল তা আর নেই।

কারণ ভোটে জিতে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে তিনি চেষ্টা করেছেন কেসিআর-এর সঙ্গে দেখা করার কিন্তু তাঁকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি।

রবিন্দর টিআরএস-এ কোনও পদ পাননি। তাঁর যে কেবল লাইনের ব্যবসা ছিল তাও তাঁর হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তাই তিনি বীতশ্রদ্ধ।

যে মুখ্যমন্ত্রীর মন্দির তৈরি করতে তিনি ধার নিয়েছিলেন, সেই ৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি মন্দির তিনি এখন বেচে ধার শোধ করতে চান।

সোশ্যাল সাইটে বিজ্ঞাপনও দিয়েছেন রবিন্দর। বিক্রি আছে তাঁর তৈরি কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের মন্দির। তেলেঙ্গানার মাঞ্চেরিয়াল জেলার দান্ডেপল্লি এলাকায় এই মন্দির। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button