National

টুথপেস্টের জায়গায় ইঁদুর মারার ক্রিম দিয়ে দাঁত মেজে ফেললেন অষ্টাদশী

টুথপেস্ট দিয়েই প্রতিদিন সকালে দাঁত মাজেন তিনি। কিন্তু ঘুম চোখে ভুল করে তুলে নিয়েছিলেন পাশে রাখা ইঁদুর মারার ক্রিম। তাতে যা সর্বনাশ হওয়ার তাই হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটে গত ৩ সেপ্টেম্বর। প্রতিদিনের মত সেদিনও সকালে ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে গিয়ে দাঁত মাজার জন্য ব্রাশে সাদা পেস্ট লাগান তিনি। কিন্তু চোখে ঘুম থাকায় লক্ষ্য করেননি যেটা ব্রাশে লাগাচ্ছেন সেটা টুথপেস্ট নয়। সেটা আদপে ইঁদুর মারার ক্রিম। যা দেখতে হুবহু টুথপেস্টের মতই।


টিউবটা না দেখে নিলে বিপত্তি হওয়ার যে সম্ভাবনা থেকে যায় সেটাই হয়। কেন যে টুথপেস্ট আর ইঁদুর মারার ক্রিম পাশাপাশি রাখা ছিল তাও পরিস্কার নয়।

এদিকে ১৮ বছরের ওই কিশোরী টুথপেস্ট ভেবে ইঁদুর মারার ক্রিম দিয়েই দাঁত মাজা শুরু করেন। কিন্তু মাজতে গিয়ে তার স্বাদ ও গন্ধ ২ আলাদা মনে হয়।



এবার টনক নড়তে তিনি ভাল করে দেখেন টুথপেস্ট নয়, তিনি ভুল করে পেস্টের পাশে রাখা ইঁদুর মারার ক্রিমটা দিয়ে দাঁত মেজে ফেলেছেন। সময় নষ্ট না করে তিনি খুব ভাল করে মুখটা ধুয়ে ফেলার চেষ্টা করেন।

মুখ ধুলেও পেটে সেই ক্রিম ততক্ষণে চলে গেছে। শুরু হয় পেটের যন্ত্রণা। ছটফট করতে থাকা তরুণীকে আশপাশের কয়েকটি হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের লোকজন। কিন্তু তাতে বিশেষ ফল কিছু হয়নি।

পরে তিনি বাড়িতে এলেও পেটের সমস্যা মেটেনি। এদিকে প্রথমে কিছু না জানালেও পরে মেয়েটি মায়ের কাছে স্বীকার করেন তিনি ভুল করে ইঁদুর মারার ক্রিম দিয়ে দাঁত মেজে ফেলেছিলেন।

গত ১২ সেপ্টেম্বর পেটের যন্ত্রণা সহ্যের বাইরে যায়। শারীরিক অবস্থারও অবনতি হতে থাকে। দ্রুত মুম্বইয়ের ধারাবি এলাকার বাসিন্দা ওই কিশোরীকে স্যার জেজে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকদের চেষ্টা সত্ত্বেও সেদিন রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button