National

দ্বিতীয় স্ত্রীকে খুশি করতে দৃশ্যম সিনেমার আইডিয়া কাজে লাগাল স্বামী

দৃশ্যম সিনেমা থেকেই পুরো আইডিয়া পেয়েছিল সে। তারপর ঠিক সেই পথ ধরেই দ্বিতীয় স্ত্রীর ইচ্ছা মেনে প্রথম পক্ষের মেয়েকে সরিয়ে দিল বাবা।

অজয় দেবগণের দৃশ্যম সিনেমার কাহিনি থেকে আইডিয়াটা নিয়েছিল অমিত শুক্লা। সেই আইডিয়া কাজে লাগিয়েই ওই ব্যক্তি মৌরানিপুর নামে একটি জায়গায় হাজির হয়েছিল।

বিড়ির ব্যবসা তার। সেই কাজে সে যে মৌরানিপুরে দিনের সিংহভাগ কাটিয়েছে তার প্রমাণ রাখতে কার্যত গায়ে পড়েই সেখানে বেশ কয়েকটি জায়গায় ঘুরে বেড়ায় সে। কথা বলে বিভিন্ন লোকের সঙ্গে।

অনেকটা গায়ে পড়েই নিজেকে মনে রাখানোর সব ব্যবস্থা করে। তারপর ফিরে আসে কাতরায় তার বাড়িতে। বাড়িতে ফিরেই সে হৈচৈ শুরু করে।

পাড়াপড়শি হাজির হন। অমিত জানায় সে মৌরানিপুর থেকে ফিরে দেখে তার ১৩ বছরের মেয়ে খুশি নিথর অবস্থায় খাটে পড়ে আছে। সে খুশিকে নিয়ে ছোটে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।


পুলিশ তদন্তে নেমে অমিতের কাছে জানতে চাইলে সে জানায় সারাদিন সে মৌরানিপুরে ছিল। তার দ্বিতীয় স্ত্রী নিজের প্রথম পক্ষের মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়ি গিয়েছিল। বাড়িতে খুশি একাই ছিল।

পুলিশ তদন্ত শুরু করে বেশ কিছু জায়গায় অসঙ্গতি পায়। অবশেষে তাদের সব সন্দেহ গিয়ে পড়ে অমিতের ওপর। অমিতকে জেরা শুরু করেন তদন্তকারীরা। সেই জেরায় ভেঙে পড়ে অমিত। একসময় সব কিছু স্বীকার করে নেয় সে।

অমিত পুলিশকে জানায় তার দ্বিতীয় স্ত্রী কিছুতেই খুশির সঙ্গে থাকতে পারছিলনা। তাই অমিত ও তার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী পরিকল্পনা করেই পুরো ঘটনা ঘটায়।

স্ত্রীর বাপের বাড়ি যাওয়া, অমিতের মৌরানিপুর গিয়ে সকলকে দেখানো যে সে মৌরানিপুরেই ছিল সারাদিন, সবই ছিল পরিকল্পনার অঙ্গ।

আদপে অমিত মেয়েকে হত্যা করে তারপর বাড়ি থেকে বেরিয়ে মৌরানিপুরে পৌঁছে যায়। সেখানে সারাদিন কাটায়। পুরো ঘটনায় অজয় দেবগণের দৃশ্যম সিনেমার ছায়া স্পষ্ট। পুলিশ অমিত ও তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button