National

গান গাইলে শুকনো মাটি ভিজছে বৃষ্টিতে, কারণ জানতে গবেষণায় কেমব্রিজ

দীর্ঘদিন বৃষ্টি নেই। মাটি শুকিয়ে কাঠ। এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে একত্রিত হয়ে একটি বিশেষ গান গাইছেন কৃষকরা। আর তাতেই নামছে বৃষ্টি।

অবাক হওয়ার জন্য সবসময় সিনেমা বা গল্পের মত কল্পিত কাহিনির দরকার পড়েনা। বাস্তব জীবনেও এমন অনেক কিছু ঘটে যা সিনেমা বা গল্পকেও ছাপিয়ে যায়।


যেমন রাজস্থানের কৃষকরা তাঁদের কৃষিজমি দীর্ঘদিনের বৃষ্টির অভাবে শুকোতে শুরু করলে সবসময় মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েন না। বরং তাঁরা সকলে একসঙ্গে ক্ষেতের ওপর সমবেত হন।

নিজেরা গোল হয়ে দাঁড়ান। বৃষ্টির লেশমাত্র না থাকা সত্ত্বেও মাথায় ছাতা নেন। তারপর ধরেন গান। যাকে স্থানীয়ভাবে বলা হয় তেজা গান।



তেজা গানের সুরে রয়েছে একটি বিশেষ রাগ। যা আদপে মেঘমল্লার। সেই সুরে কৃষকরা গান গাইতে শুরু করেন। অদ্ভুতভাবে দেখা গেছে এই গান ধরলে তারপরই নামে বৃষ্টি।

বহুদিন যেখানে বৃষ্টি নেই, সেখানে গানের হাত ধরে ফাটা মাটি ভিজে ওঠে। নেচে ওঠেন কৃষকরাও। মনে হতেই পারে এমনটা হয় নাকি? অবাস্তব মনে হলেও এটাই কিন্তু বাস্তব।

যা নিয়ে ব্রিটেনের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা পর্যন্ত হয়েছে। এটা কীভাবে সম্ভব তার কারণ খোঁজার চেষ্টা করেছেন গবেষকেরা।

কথিত আছে প্রায় ১ হাজার বছর আগে স্থানীয় এক ব্যক্তি বীর তেজাজি গোরক্ষা করতে গিয়ে প্রাণ হারান। তাঁর স্মৃতিতেই এই গানের নাম তেজা গান।

এই গানের ওপর ৩০০ পাতার একটি বইও লেখা হয়েছে। রাজস্থানেরই মদন মীনা নামে এক লেখক বইটি লেখেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সাহায্য নিয়ে।

রাজস্থানের নাগৌর জেলায় সবচেয়ে বেশি গাওয়া হয় তেজা গান। যা সেখানকার পল্লীগীতিতে পরিণত হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button