National

ছোট্ট এই গ্রামে মৃতেরা বেঁচে থাকেন অনন্য উপায়ে

এ দেশে অভিনব ভাবনা আর তার ভিত্তিতে বিভিন্ন প্রথার অভাব নেই। এমন একটি গ্রাম রয়েছে যেখানে মৃতেরা মৃত্যুর পর বেঁচে থাকেন গাছের মধ্যে।

পাহাড়ের গা বেয়ে খাঁজে খাঁজে রয়েছে ঘরবাড়ি। সেখানেই গড়ে উঠেছে একটা গ্রাম। পাহাড়ি এই গ্রাম আর পাঁচটা গ্রামের মত হলেও এ গ্রামের মৃতেরা বেঁচে থাকেন গাছের মধ্যে।


কিছুটা অবাক হওয়ার মত হলেও এটাই সত্যি। এ গ্রামে কারও মৃত্যু হলে তাঁর স্মরণে মৃতের পরিবার একটি গাছ লাগায়। যে কোনও গাছ হলে হবে না। লাগাতে হবে ফল গাছ।

সে গাছে ফল ধরা পর্যন্ত আদর যত্নে ত্রুটি থাকেনা। সঠিক সময়ে জল, সার সবই দিতে হয় পরিবারকে। তারপর একদিন সেই গাছে ফল ধরে। গাছ ঝাঁকরা হয়ে প্রকৃতির বুকে নিজেকে মেলে ধরে।



সেই গাছের তলায় কেউ এসে একটু জিরোতে পারেন। খিদে পেলে গাছের থেকে ফল পেড়ে খেতেও পারেন। আর সেখানেই লুকিয়ে থাকে মৃত্যুর পর গাছ লাগানোর ধারণার শিকড়টা।

জম্মু কাশ্মীরের ডোডার কালিহান্ড গ্রামের মানুষ সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী। তাঁদের মতে কারও মৃত্যু হলে একটি গাছ পোঁতা অবশ্যই পুণ্যের কাজ। আর তা শাস্ত্রে লেখা আছে।

গ্রামের এক পুরোহিত পণ্ডিত দয়া রামের মতে, গরুড় পুরাণে কারও মৃত্যু হলে তাঁর স্মরণে গাছ লাগানোর বিধান রয়েছে।

দয়া রামের মতে, গাছ বড় হলে তার তলায় কেউ বিশ্রাম নিলে বা গাছের ফল খেয়ে ক্ষুধা নিবারণ করলে মৃত ব্যক্তির আত্মা মুক্তি পায়। তাই এই প্রথা তাঁদের গ্রামে বছরে পর বছর প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলে আসছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।
Back to top button