National

ভূস্বর্গে তরতর করে নামছে পারদ, সর্বনিম্ন মাইনাস ১৭

কাশ্মীর ও লাদাখে পারদ নামছিল। কিন্তু ঝুপ করে গত একদিনে ঠান্ডা যেন লাফিয়ে নেমে গেল। সেখানে সর্বনিম্ন পারদ রেকর্ড হয়েছে মাইনাস ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শ্রীনগর : ভারতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রবিবার কত যদি প্রশ্ন করা হয় তাহলে তার উত্তর হবে মাইনাস ১৭.৬ ডিগ্রি। দ্রাসে এই পারদ রেকর্ড হয়েছে রবিবার।


আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে কাশ্মীর ও লাদাখে আগামী ১ সপ্তাহ আবহাওয়া শুকনো থাকবে। আকাশ থাকবে পরিস্কার। ফলে পারদ আরও নিচে নামবে।

পারদ যে নিচে নামবে তা অনুমেয়। কারণ এই সপ্তাহেই দ্রাসে সর্বনিম্ন পারদ নেমেছিল মাইনাস ৭ ডিগ্রিতে। আর তা এক লাফে রবিবার নেমে গেল মাইনাস ১৭ ডিগ্রিতে!



ভারতের দ্রাসে পারদ সবচেয়ে নিচে নেমে থাকে। ১৯৯৫ সালের জানুয়ারিতে দ্রাসে পারদ নেমেছিল মাইনাস ৬০ ডিগ্রিতে। যা এখনও রেকর্ড। দ্রাসে কিন্তু এই ঠান্ডাতেও মানুষ অনেকটাই স্বাভাবিক জীবন যাপন করেন।

বিশ্বে এমন ঠান্ডা পড়া সত্ত্বেও যেখানে যেখানে মানুষের বসবাস রয়েছে তেমন স্থানগুলির মধ্যে দ্রাস হল দ্বিতীয়। যেখানে পারদ এত নিচে নামে এবং সেখানে মানুষ তার মধ্যেই তাঁদের কাজকর্ম চালিয়ে যান।

কাশ্মীর ও লাদাখের অনেক জায়গাতেই কিন্তু পারদ বেশ খানিকটা নেমেছে রবিবার। গুলমার্গে রেকর্ড হয়েছে মাইনাস ৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পহেলগামে মাইনাস ৩.২ ডিগ্রি। শ্রীনগরে পারদ রয়েছে মাইনাস ০.১ ডিগ্রিতে।

এদিক দ্রাস ছাড়া যে ২টি মানুষের বসবাস থাকা জায়গায় পারদ উল্লেখযোগ্যভাবে নিচে নামে সে ২টি জায়গা হল লেহ এবং কার্গিল। যেখানে দ্রাসের মত অতটা না নামলেও পারদ নামে তার ধারে কাছেই। রবিবার লেহ-তে পারদ নেমেছে মাইনাস ১৩.৮ ডিগ্রিতে। অন্যদিকে কার্গিলে পারদ নেমেছে মাইনাস ১২.৬ ডিগ্রিতে।

যদিও এই পারদ পতন দেখে চমকিত হওয়ার মত কিছুই নেই। কারণ কাশ্মীর বা লাদাখে এখনও কড়া ঠান্ডার সময়ই আসেনি। ৪০ দিনের প্রবল ঠান্ডার জন্য বিখ্যাত ভারতের এই অঞ্চল।

যার মধ্যে ১০ দিন হয় সবচেয়ে ভয়ংকর ঠান্ডা। যা পড়ে জানুয়ারির ২১ তারিখ থেকে। শেষ হয় ৩১ জানুয়ারি। এই ১০ দিনকে স্থানীয় মানুষ চিল্লাই কলন নামে চেনেন। যে সময় এত তুষারপাত হয় যে পারদ পতন তো রেকর্ড ছোঁয়ই, সেইসঙ্গে তুষারে ঢেকে যায় সেখানকার যাবতীয় জলাশয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button