National

গরুদের ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচাতে জোড়া উদ্যোগ

শীতে যাতে গরুদের ঠান্ডায় কোনও সমস্যা না হয় তা দেখতে বিশেষ ব্যবস্থা নিল যোগী সরকার। ইতিমধ্যেই সেই সংক্রান্ত নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে সরকার।

প্রয়াগরাজ (উত্তরপ্রদেশ) : শীতে গরুদের ঠান্ডা লাগে। তাদের গায়ে কিছু থাকেনা। আর উত্তরপ্রদেশের ঠান্ডা তো অনেকেরই জানা। তা যে কতটা হাড় কাঁপানো পর্যায়ে পৌঁছয় তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।


সেই ঠান্ডায় গরুদের প্রবল কষ্ট হয়। তাই তাদের ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচাতে বিশেষ উদ্যোগ নিল উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার। গরুদের শরীর গরম রাখতে তারা নির্দিষ্ট বন্দোবস্ত করেছে।

সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সরকারি দফতরে নির্দেশিকা পৌঁছে গেছে। রাজ্যে যেসব সরকারি দেখভালে গোশালা রয়েছে সেখানে প্রত্যেক গরুর গায়ে এবারের শীতে থাকবে বিশেষ ধরনের কোট। যা তৈরি হবে চটের বস্তা দিয়ে।



সেগুলি গরুদের গায়ে এমনভাবে জড়ানো হবে যাতে তাদের ঠান্ডা না লাগে। অতিদ্রুত এই উদ্যোগ কার্যকরী করতেও বলা হয়েছে। কারণ ঠান্ডা ইতিমধ্যেই জাঁকিয়ে পড়তে শুরু করে দিয়েছে।

এছাড়াও সরকার পরিচালনাধীন গোশালাগুলিতে গরুদের ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচাতে অন্য বন্দোবস্তও করেছে সরকার। গোশালাগুলিকে পলিথিন পর্দা দিয়ে পুরো ঢেকে ফেলা হচ্ছে। যাতে বাইরে থেকে ঠান্ডা সেখানে সহজে প্রবেশ করতে না পারে।

পলিথিনের পর্দা দিয়ে পুরো গোশালা ঢাকা থাকবে এবার। সেইসঙ্গে গরুদের গায়ে থাকবে বিশেষ ধরনের চটের বস্তার কোট। এই জোড়া বন্দোবস্তে গরুরা উত্তরপ্রদেশের ঠান্ডার হাত থেকে অনেকটাই রেহাই পাবে বলে মনে করছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার।

অযোধ্যায় আবার গরুদের ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচাতে এই ২ ব্যবস্থার পাশাপাশি আরও একটি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে গরুদের বাঁচাতে সেখানে গোশালাগুলিতে থাকছে বনফায়ার-এর ব্যবস্থা।

আগুনের সেই তাপেও বাড়তি উত্তাপ পাবে গরুরা। উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু জেলায় সরকারি মনরেগা প্রকল্পে গ্রামে গ্রামে গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে গরুদের জন্য চটের বস্তা সেলাই করার কাজ ও গোশালা পলিথিন দিয়ে ঢাকার কাজ হবে।

উত্তরপ্রদেশে সরকারি গোশালাগুলিতে থাকা গরুগুলির নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা ও তাদের দেখভালের জন্য কেয়ারটেকারের বন্দোবস্ত সারা বছর থাকে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button