National

লন্ডন থেকে ৪২ বছর পর মন্দিরে ফিরলেন রাম, লক্ষ্মণ ও সীতা

লন্ডন থেকে ফের নিজের মন্দিরে ফিরে এলেন রাম, লক্ষ্মণ ও সীতা। তাও আবার বহু বছর পর। এমন চমৎকার যে তাঁরা দেখতে পাবেন তা আশাও করেননি ভক্তরা।

চেন্নাই : ১৯৭৮ সাল। মন্দিরের দরজা খুলতেই চমকে উঠলেন পুরোহিতেরা। মন্দিরের আসনে থাকা ৪টি মূর্তিই উধাও। ভগবান রাম, সীতা, লক্ষ্মণ ও হনুমানজি-র ৪টি মূর্তিই উধাও হয়ে গেছে মন্দির থেকে।

হৈহৈ পড়ে যায়। কিন্তু বিগ্রহ আর পাওয়া যায়নি। পুলিশ অনেক চেষ্টা করেও মূর্তির হদিশ পায়নি। তবে ওই ঘটনার তদন্তে নেমে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেও মূর্তির খবর পায়নি পুলিশ।

তারপর কেটে গেছে ৪২টা বছর। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে একটা খবর আসে। সিঙ্গাপুরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যারা আন্তর্জাতিক বাজারে পুরনো শিল্পকীর্তি ক্রয়-বিক্রয়ের ওপর নজর রাখে তারা লন্ডনের এক পুরাতনি বস্তু সংগ্রাহকের কাছ থেকে ৩টি মূর্তির খোঁজ পায়। এই খবর পাওয়ার পর লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ ওই ৩টি মূর্তি উদ্ধার করে। তারপর তা ভারতকে ফেরানোর ব্যবস্থা করে।

ভারতীয় দূতাবাসের সহযোগিতায় রাম, সীতা ও লক্ষ্মণের মূর্তি অবশেষে এসে পৌঁছয় চেন্নাইয়ে। তারপর গত শনিবার তা চেন্নাই থেকে পৌঁছে যায় তামিলনাড়ুর নাগাপাত্তিনম জেলার অনন্তমঙ্গলমের রাজাগোপালাস্বামী মন্দিরে।

আপাতত সেখানেই রাখা রয়েছে মূর্তি ৩টি। তবে হনুমানজির মূর্তিটি এখনও পাওয়া যায়নি। উদ্ধার হওয়া ৩টি মূর্তি মন্দিরে আবার প্রতিষ্ঠা করা হয়নি। নিয়ম মেনে ৩টি বিগ্রহ আবার স্থাপন করা হবে আগামী ২৫ নভেম্বর বলে জানিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।

রাজাগোপালাস্বামী মন্দিরটি পঞ্চদশ শতাব্দীর একটি অনন্য স্থাপত্য। সেই সময়ই ভগবান রাম, সীতা, লক্ষ্মণ ও হনুমানজি-র ব্রোঞ্জের বিগ্রহ এই মন্দিরে পূজিত হতে শুরু করে। তারপর থেকে টানা পুজো চলেছে। ১৯৭৮ সালে চুরি যাওয়ার পর প্রচুর খোঁজ হয়েছে মূর্তিগুলির।

প্রসঙ্গত ভারতীয় পুরাতনি শিল্পকলার চাহিদা বিদেশের বাজারে প্রশ্নাতীত। বিভিন্ন সময়ে ভারত থেকে এমন শিল্পকীর্তি চুরি গিয়েছে। তারপর লুকোনো পথে পৌঁছে গেছে বিভিন্ন দেশে। সেখানে মোটা অঙ্কে তা বিক্রি হয়েছে।

বিভিন্ন সময়ে এমনভাবে চুরি করা শিল্পকীর্তি, বিগ্রহ উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছে পুলিশ। আবার কখনও তা নাগাল পেরিয়ে পৌঁছে গেছে বিদেশে। তবে ৪২ বছর পর বিগ্রহ যে উদ্ধার হল এতে চমকিত ভক্তরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *