National

করোনার বাড়বাড়ন্তে একের পর এক রাজ্যে রাতে জারি হচ্ছে কার্ফু

করোনা নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে দেশের কয়েকটি রাজ্যে। একের পর এক রাজ্যে ফের ফিরছে সেই লকডাউনের চেহারা। তবে আপাতত রাতেই।

নয়াদিল্লি : করোনা ফের বিভিন্ন রাজ্যে বাড়তে শুরু করেছে। দিল্লিতে তো হুহু করে বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা। পিছিয়ে নেই অন্য কিছু রাজ্য। যার মধ্যে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, রাজস্থান। গুজরাট, মধ্যপ্রদেশে আগেই জারি হয়েছিল। এবার রাজস্থান সরকারও একই পথে হাঁটল।


লকডাউন যখন কিছুটা শিথিল করা হয় তখন সকালে লকডাউন উঠলেও রাতে কার্ফু জারি থাকছিল। যা দীর্ঘদিন বজায় ছিল। এবার পুরো লকডাউন না ফিরলেও সেই রাতে কার্ফুর পুরনো চেহারা ফিরেছে ৩ রাজ্যে।

রাজস্থান সরকার জানিয়েছে তাদের ৮টি শহরে আপাতত জারি থাকছে রাত কার্ফু। জয়পুর, যোধপুর, বিকানের, কোটা, উদয়পুর, আজমের, আলোয়ার এবং ভিলওয়াড়া, এই ৮টি শহরে করোনা আবার বাড়তে শুরু করেছে। তাই এই ৮টি শহরে রাত কার্ফু জারি করেছে রাজ্যসরকার।



রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত এই কার্ফু জারি থাকবে। এই সময় কেবলমাত্র আপৎকালীন কারণ ছাড়া কেউ বাড়ি থেকে বার হতে পারবেননা।

এক জায়গায় একসঙ্গে জমায়েতেও রাজ্যজুড়েই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজস্থান সরকার। তাছাড়া মাস্ক না পরলে তার জন্য জরিমানার অঙ্কও বাড়িয়ে দিয়েছে রাজস্থান সরকার।

আগে ছিল ২০০টাকা জরিমানা। তা বেড়ে হয়েছে ৫০০ টাকা জরিমানা। প্রসঙ্গত মাস্ক না পরে রাস্তায় বার হলে জরিমানার অঙ্ক সবচেয়ে বেশি বাড়িয়েছে দিল্লি সরকার। ৫০০ টাকা থেকে তা বেড়ে হয়েছে ২ হাজার টাকা।

করোনা রুখতে রাত কার্ফুর নিয়ম গুজরাটেও আগেই চালু হয়েছে। আমেদাবাদে গত শুক্রবার রাত ৯টা থেকে আবার টানা ৫৭ ঘণ্টার কার্ফু জারি হয়েছে। অন্যদিকে রাত কার্ফু জারি হয়েছে সুরাট, ভদোদরা ও রাজকোটে।

একইভাবে মধ্যপ্রদেশেও জারি হয়েছে রাত কার্ফু। মধ্যপ্রদেশে অবশ্য কার্ফু থাকছে রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত। ভোপাল, ইন্দোর, গোয়ালিয়র, বিদিশা ও রতলাম-এ জারি হয়েছে এই রাত কার্ফু। কেবলমাত্র যাঁরা জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত তাঁরা এই কার্ফুর আওতায় পড়ছেন না। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button