National

বিষ দিয়ে শেষ করা হল ৫০টি বানরকে

নির্মম, নৃশংসভাবে শেষ করে দেওয়া হল ৫০টি বানরকে। আরও বেশি সংখ্যক বানরেরও মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। কারা এমনটা করল তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

হায়দরাবাদ : দুর্গন্ধটা আসছিল কাছের জঙ্গলঘেরা একটি টিলার কাছ থেকে। ক্রমশ বাড়ছিল গন্ধের তীব্রতা। অবশেষে দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে গ্রামবাসীরা পুলিশে খবর দেন।

পুলিশ এসে দুর্গন্ধ কোথা থেকে আসছে তার খোঁজ শুরু করে। এভাবে খুঁজতে খুঁজতে ওই ঢিবির এক কোণায় একটি চটের থলি পান পুলিশকর্মীরা। সেই থলি খুলতে তাঁরা যা দেখেন তা ভয়ংকর।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

থলির মধ্যে পোরা হয়েছে অনেক বানরের দেহ। অধিকাংশ দেহই গলে পচে গেছে। সেগুলি উদ্ধার করা হয় বটে, তবে দেহগুলি এতটাই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে সেগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো সম্ভব হয়নি।

কাছাকাছি মাটি খুঁড়ে দেহগুলি কবর দিয়ে দেয় পুলিশই। তবে তার আগে তারা দেখে বানরের মৃত স্তূপে কমপক্ষে ৫০টি বানরের দেহ রয়েছে। যার মধ্যে আবার অধিকাংশই শিশু বানর।

এমন নৃশংসভাবে তাদের কেই বা হত্যা করল, আর কেই বা ফেলে গেল সেগুলিকে চটের থলিতে ভরে? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। এদিকে ময়নাতদন্ত না হওয়ায় বানরগুলির মৃত্যু সঠিক কারণ এখনও অজানা। তবে দেহ দেখে পুলিশের ধারণা তাদের বিষ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি কয়েকটি বানরের ইলেকট্রিক শকে মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয় মানুষজন জানাচ্ছেন কৃষকরা বানর সহ বিভিন্ন জন্তুর হামলায় বিপর্যস্ত থাকেন তাঁদের ফসল নিয়ে। মাঠ ভরা ফসল তছনছ করে বানর থেকে অন্য জন্তুরা। তাই তাদের দূরে রাখতে অনেক পন্থা ব্যবহার করেন কৃষকরা।

তাঁরা ফসল বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখেন। আবার প্রয়োজনে বেড়ায় হাল্কা বিদ্যুতও দিয়ে রাখেন তাঁরা। যাতে তা ছুঁলে শক খেয়ে পালিয়ে যায় বানর থেকে অন্য জন্তুরা। তবে বিষ দিয়ে এভাবে বানরদের হত্যা করার ঘটনা এর আগে দেখা যায়নি।

এমন ঘটনা সামনে আসার পর হতবাক জেলা প্রশাসনও। তারাও চাইছে এমন হৃদয়হীন নৃশংস হত্যার পিছনে কারা রয়েছে তার সঠিক খোঁজ হোক। ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানার মাহাবুবাবাদ জেলার সানিগাপুরম গ্রামে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *