National

রাম জন্মভূমির পর হনুমানজির জন্মস্থানও সাজানোর উদ্যোগ শুরু

অযোধ্যায় রাম জন্মভূমি নিয়ে যাবতীয় সমস্যার সমাধান হয়েছে আদালতের নির্দেশে। সেখানে তৈরি হচ্ছে রাম মন্দির। এবার হনুমানজির জন্মস্থানকে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগও শুরু হয়ে গেল।

মুম্বই : রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে গেছে অযোধ্যায়। আর ভগবান রামের নাম এলেই যাঁর নাম সীতা ও লক্ষ্মণের মতই একসঙ্গে উচ্চারিত হয় তিনি হলেন হনুমানজি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পরেছে হনুমান মন্দির। এবার সেই হনুমানজির জন্মস্থানকে সাজানোর উদ্যোগ শুরু হয়ে গেল।

মহারাষ্ট্র সরকার মনে করছে এই জায়গাকে সাজিয়ে তুললে এখানে আসতে চাওয়া পুণ্যার্থীদের সুবিধা হবে। এখানে পুণ্যার্থীরা সহজে আসতে পারবেন। এখানে থাকতে পারবেন। এখানকার প্রাকৃতিক শোভাও উপভোগ করতে পারবেন।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে ত্রম্বকেশ্বর যাওয়ার পথে মাঝে পড়ে অঞ্জনেরি পাহাড়। মনে করা হয় সবুজে ঘেরা এই পাহাড়ের কোলেই জন্ম হয়েছিল হনুমানজির। তাঁর মায়ের নাম থেকেই এই জায়গার নামকরণ হয়েছে। হনুমানজির মায়ের নাম ছিল অঞ্জনি। তাঁর সেই নাম থেকেই এই অঞ্চলের নাম অঞ্জনেরি।

Anjaneri
ফাইল : হনুমানের জন্মভূমি হিসাবে প্রসিদ্ধ অঞ্জনেরি পাহাড়, ছবি – আইএএনএস

সবুজ উপত্যকা, পাহাড়ে ঘেরা প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য ও সেইসঙ্গে হনুমানজির জন্মস্থানের মাহাত্ম্য, সব মিলিয়ে এ জায়গা যে অচিরেই ভারতের তীর্থক্ষেত্র ও পর্যটনক্ষেত্রের মানচিত্রে অন্যতম জায়গা দখল করতে পারে তা অনুধাবন করতে পেরে এবার এই জায়গার উন্নয়নে জোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল মহারাষ্ট্র সরকার। গত শনিবারই এই সংক্রান্ত ঘোষণা করেছেন মহারাষ্ট্রের পর্যটনমন্ত্রী আদিত্য ঠাকরে।

ঠাকরে জানান, এই জায়গার পুণ্য মাহাত্ম্যকে পুরো সম্মান জানিয়ে এবং এই জায়গার ইকোলজিকে ধরে রেখেই যাবতীয় উন্নয়ন করা হবে।

জায়গাটির উন্নয়ন হলে এখানে আরও বেশি করে মানুষের আসা যাওয়া হবে। তাতে স্থানীয় মানুষজনের রুজিরও বন্দবস্ত হবে বলে মনে করছেন অনেকে।

মহারাষ্ট্রের নাসিকে গোদাবরী নদীর তীরে কুম্ভ মেলার আয়োজন হয়। আবার দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের ১টি রয়েছে এখানেই কুশাবর্ত কুণ্ড-এ।

আবার নাসিকের কাছে শিরডিতে রয়েছে সাঁইবাবার মন্দির। যেখানে বহু পুণ্যার্থী সারা বছর ভিড় জমান। নাসিক থেকে ২৫ কিলোমিটার এবং ত্রম্বকেশ্বর থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে হনুমানজির জন্মস্থান সুন্দর করে সেজে উঠলে এখানে পুণ্যার্থীদের আসা যাওয়ার সমস্যাও থাকবে না। চাইলে একই সঙ্গে একাধিক তীর্থক্ষেত্র দর্শনও হয়ে যাবে তাঁদের। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *