National

৭ মাস পর খুলল কাজিরাঙা

করোনার জন্য ৭ মাস টানা বন্ধ ছিল দেশের অন্যতম জাতীয় উদ্যান কাজিরাঙা। অবশেষে ঠিক উৎসবের শুরুতে পর্যটকদের জন্য খুলে গেল সেই বন্ধ দরজা।

গুয়াহাটি : ভারতের অন্যতম দ্রষ্টব্য ১৭টি স্থানের মধ্যে একটি কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান। এখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত তো বটেই এমনকি বিদেশ থেকে সারা বছর পর্যটকের আনাগোনা লেগে থাকে।

কাজিরাঙার সেই জঙ্গল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল করোনা আবহে। তারপর থেকে বন্ধই ছিল জঙ্গল। এর মধ্যে কাজিরাঙার ওপর দিয়ে দুর্যোগ বয়ে গেছে। প্রবল বন্যায় কাজিরাঙার বন্যপ্রাণের প্রভূত ক্ষতি হয়েছে। অনেক প্রাণির মৃত্যু হয়েছে।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

সেসব দুর্যোগ কেটে জঙ্গলে এখন হেমন্তের পরশ। বেশ একটা মনোরম পরিবেশ। এই সময়ে কাজিরাঙায় ঘুরতে যাওয়ার ভিড় থাকে প্রতি বছর।

পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে এবার তাই খুলে গেল কাজিরাঙার দরজা। ৭ মাস পর কাজিরাঙা উদ্যানকে ফের পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল। মিহিমুখ এলাকায় এই অনুষ্ঠানে সকলকে জঙ্গলের সৌন্দর্যায়নে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী।

তিনি এও মনে করিয়ে দেন যে অসম সরকার কাজিরাঙার জঙ্গলে গণ্ডার শিকারে লাগাম দিতে পেরেছে। গণ্ডারদের লুকিয়ে হত্যা করে তার শৃঙ্গ বিদেশের বাজারে বিক্রি করার একটা প্রবণতা রয়েছে চোরাশিকারিদের। জঙ্গলে সেই চোরাশিকার বন্ধ করতে উদ্যোগী অসম সরকার।

মুখ্যমন্ত্রী পর্যটকদের কাজিরাঙার জঙ্গল ভ্রমণে আহ্বান জানানোর পাশাপাশি তাঁদের করোনা প্রোটোকল মেনে চলার জন্য অনুরোধ করেন। করোনা বিধি মেনে করোনা ছড়ানো আটকানোর জন্য বলেন তিনি।

এ বছর প্রবল বন্যায় জঙ্গলের ক্ষতি হয়েছে প্রভূত। ১৮টি গণ্ডার ও ১৩৫টি অন্যান্য প্রাণির বন্যায় মৃত্যু হয়েছে। জঙ্গলের ৯৫ শতাংশই জলের তলায় চলে যায়। অনেক প্রাণিকে উদ্ধারও করা হয়।

অসমের গোলাঘাট ও নগাঁও জেলা জুড়ে কাজিরাঙার বিস্তৃতি। ১৯০৮ সালে জন্ম নেওয়া এই অভয়ারণ্যকে ১৯৮৫ সালে বিশ্বের অন্যতম হেরিটেজ ক্ষেত্র বলে চিহ্নিত করে ইউনেস্কো।

জঙ্গল একটাই। কিন্তু এখানেই একাধারে লালিত হচ্ছে একশৃঙ্গ গণ্ডার আর বাঘ। বিশ্বে বাঘদের যত অভয়ারণ্য রয়েছে তার মধ্যে কাজিরাঙাতেই বাঘের ঘনত্ব সর্বাধিক। এই জঙ্গল আবার হাতি, জলহস্তী আর হরিণেরও নিশ্চিন্ত আবাসস্থল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *