বৃষ্টি বিধ্বস্ত ২ রাজ্যে বাড়ছে মৃত্যু
প্রবল বৃষ্টির বিরাম নেই। আর সেই প্রবল বৃষ্টিতে কার্যত বিধ্বস্ত ২ রাজ্যের সিংহভাগ এলাকা। মৃত্যু বাড়ছে ২ রাজ্যেই।

হায়দরাবাদ : বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি মঙ্গলবার সকালেই আছড়ে পড়ে স্থলভাগে। অন্ধ্র উপকূল দিয়ে তা স্থলভাগে প্রবেশ করে। ঝড়ের সর্বোচ্চ গতি ছিল ৭৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। তার সঙ্গে ছিল তুমুল বৃষ্টি। যা কার্যত সোমবার থেকেই তার দাপট বাড়িয়ে দিয়েছিল।
প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশে। বৃষ্টি হচ্ছিল দক্ষিণ ওড়িশাতেও। সেই বৃষ্টি অতি গভীর নিম্নচাপটি প্রবেশ করার পর আরও বেড়ে যায়। ফলে জনজীবন মঙ্গলবার আরও স্তব্ধ আকার নেয়।
অতি বৃষ্টির জেরে বিভিন্ন নদী, খাল, বিলে জল বাড়তে থাকে। বিভিন্ন এলাকা জলের তলায় চলে যায়। কিন্তু বৃষ্টি বন্ধ না হওয়ায় পরিস্থিতি ঘোরাল থেকে অতি ঘোরাল হতে থাকে।
হায়দরাবাদের রাস্তাঘাট দিয়ে স্রোতের মত জল বইতে দেখা যায়। অধিকাংশ মানুষ বাড়িতে আশ্রয় নেন। বিরামহীন বৃষ্টি অবস্থা আরও ভয়ানক করে তোলে। এদিকে আবহাওয়া দফতর আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। ফলে প্রশাসনের চিন্তাও বাড়ছে।
অতি বৃষ্টির জেরে গত ৪৮ ঘণ্টায় তেলেঙ্গানায় কমপক্ষে ১৩ জন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যু আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে মধ্যরাতে হায়দরাবাদ শহরের একটি বিশাল পাঁচিল প্রবল বৃষ্টির জেরে ভেঙে পড়ে। তা ভেঙে পড়ে পাশের বেশ কিছু বাড়ির ওপর। যারফলে সেই বাড়িগুলিও ভেঙে ধ্বংসস্তূপের নিচে চলে যায়। বাড়ির অনেকে বাসিন্দাও ধ্বংসস্তূপের নিচে হারিয়ে যান।
এই ঘটনায় এক সদ্যোজাত সহ ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও মানুষের দেহ থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু হয় যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। তবে বৃষ্টির জেরে কাজ কিছুটা হলেও ব্যাহত হয়।
হায়দরাবাদ শহরে গত শুক্রবার এক প্রবল বৃষ্টি হয়। তারপর থেকে কমবেশি বৃষ্টি চলছিলই। এমনকি অনেক রাস্তায় জলের স্রোতে গাড়ি পর্যন্ত ভেসে যেতে দেখা গেছে। আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানার মানুষকে চিন্তায় রেখেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা