National

বাড়িতে থেকে করোনা সারালেন ১০৫ বছরের বৃদ্ধা

করোনা নিয়ে গোটা দেশ চিন্তায়। হলে কী হবে তা এক বড় চিন্তার কারণ হয়েছে মানুষের কাছে। সেখানে ১০৫ বছরের এক বৃদ্ধা বাড়িতে থেকেই করোনা সারিয়ে সুস্থ হলেন।

বেঙ্গালুরু : করোনা নিয়ে অযথা চিন্তা করবেননা। করোনাকে ভয় পাবেন না। করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। এ কথা বিভিন্ন মহল থেকে বারবার বলা হলেও অনেকেই করোনা নিয়ে ভীত। এমনকি করোনা হলে মৃত্যু ভয়ও তাড়া করে বেড়াচ্ছে অনেককে। ১০৫ বছরের এক মহিলার করোনা সারিয়ে সেরে ওঠা কিন্তু মানুষকে ভরসা যোগাচ্ছে।


যদি ১০৫ বছরের এক বৃদ্ধা করোনাকে হারাতে পারেন, তাহলে করোনাকে পরাজিত করা যায়। এই বিশ্বাসকে অনেকের মনে জায়গা করে দিয়েছেন কর্ণাটকের পিছিয়ে পড়া জেলা কোপ্পালের বাসিন্দা কমলাম্মা। ১০৫ বছরের ওই বৃদ্ধা সেরে উঠেছেন করোনাকে হারিয়ে।

বৃদ্ধার জ্বর ছিল। ফলে বাড়ির সকলে ঝুঁকি না নিয়ে তাঁর করোনা পরীক্ষা করান। তাতে দেখা যায় ওই বৃদ্ধা করোনা আক্রান্ত। তবে জ্বর ছাড়া তাঁর বিশেষ কোনও উপসর্গ ছিলনা।



এদিকে বাড়ির সকলে চান এত যখন বয়স তখন বাড়িতে না রেখে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে। কিন্তু বৃদ্ধা সাফ জানিয়ে দেন তাঁর করোনা নিয়ে কোনও ভয় নেই। তিনি বাড়িতেই থাকবেন। মৃত্যু হলে বাড়িতেই হবে।

ওই বৃদ্ধার নাতি আবার পেশায় আয়ুর্বেদ চিকিৎসক। তিনি তখন স্থির করেন তাঁর নিজের মত করে ঠাকুমাকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করবেন। তিনি বিশেষ পাঁচন তৈরি করে খাওয়াতে থাকেন বৃদ্ধাকে।

পরিবারের দাবি, নাতির পাঁচন আর বাড়িতে নিয়ম মেনে থাকার পর বৃদ্ধা সুস্থ হয়ে ওঠেন। তাঁর করোনা পরীক্ষা ফের করানো হয়। তখন সেই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এখন বৃদ্ধা সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

বৃদ্ধার নাতি ঠাকুমাকে খাওয়ানো তাঁর বিশেষ পাঁচন নিয়ে গর্বিত। তবে তা পরীক্ষিত নয়। তাই সেই পাঁচনেই বৃদ্ধা সুস্থ হয়ে উঠেছেন এমন কিছু কখনওই প্রমাণিত নয়। তবে বৃদ্ধা সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

১০৫ বছর বয়সে যে তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন করোনা সারিয়ে এটাই পরিবারের কাছে আশ্চর্যের লাগছে। বৃদ্ধা সুস্থ হওয়ায় বেজায় খুশি গোটা পরিবার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button