National

১১ দিন পুজো করে দক্ষিণা মিলল মজার টাকা, রেগে আগুন ৪০ পুরোহিত

১১ দিন ধরে পুজো করার পর দক্ষিণা পেয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু সেই দক্ষিণা ভাল করে দেখে রেগে আগুন পুরোহিতরা।

সীতাপুর (উত্তরপ্রদেশ) : তাঁর গ্রামে বড় করে পুজোর আয়োজন করা হবে। যথার্থ অর্থেই বড় করে পুজো। তাই দিলীপ কুমার পাঠক নামে এক পুরোহিতকে ডেকে পাঠান এক মহিলা। তাঁকে জানান তিনি গ্রামে একটি বড় পুজোর আয়োজন করতে চান। ১১ দিন ধরে অখণ্ড পুজো হবে সেখানে। এজন্য যতজন পুরোহিতের প্রয়োজন তা ব্যবস্থাও করতে বলেন দিলীপ কুমার পাঠককে। মহিলা তাঁকে এও জানান যে পুরো ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিতে হবে তাঁকে। বিনিময়ে তিনি ৯ লক্ষ টাকা দিলীপ কুমার পাঠককে দিয়ে দেবেন।

৯ লক্ষ টাকার বরাত বলে কথা। তাই পুরোহিত দিলীপ কুমার পাঠক কোনও কিছুর ত্রুটি রাখেননি। যজমান যাতে সন্তুষ্ট হন সেকথা মাথায় রেখে তিনি ছাড়াও আরও ৩৯ জন পুরোহিতকে একত্র করেন পাঠক। তাঁদের সকলকে নিয়ে শুরু করেন পুজো। সেই পুজো গ্রামে রীতিমত চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। গ্রামবাসীরাও এমন পুজো দেখে খুশি। তাঁরাও এসে ভিড় জমান এমন বিশাল পুজো দেখতে।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

১১ দিন ধরে ৪০ জন পুরোহিত মিলে পুজো শেষ করার পর আসে পুরোহিত বিদায়ের পালা। গীতা পাঠক নামে ওই মহিলা একটি টাকা ভর্তি ব্যাগ তুলে দেন দিলীপ কুমার পাঠকের হাতে। ব্যাগ খুলে তাঁরা দেখেন টাকার তাড়া রয়েছে ভিতরে। পুরোহিতরা খুশি মনে বিদায় নেন। কিন্তু তারপরই আসে মূল ধাক্কা। টাকার ব্যাগ থেকে সব টাকা বার করে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করতে গিয়ে তাঁদের চক্ষু চড়কগাছ।

তাঁরা দেখেন টাকার বান্ডিলের ওপরের নোটগুলিই কেবল আসল। তার তলা ভর্তি মনোরঞ্জন ব্যাঙ্ক-এর নোট! যা প্রধানত বাচ্চাদের খেলার টাকা হিসাবে ব্যবহার হয়। সেজন্যই তা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নয়, মনোরঞ্জন ব্যাঙ্কের!

৪০ জন পুরোহিত এই দেখে রেগে অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন। তাঁরা সোজা হাজির হন পুলিশের কাছে। থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সীতাপুর জেলার তেরওয়া মানিকপুর গ্রামে। পুরোহিতদের অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে পুলিশ গীতা পাঠক নামে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে। তাঁর গাড়ি থেকে আরও প্রচুর পরিমাণে খেলার নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *