দিল্লিতে বড়সড় নাশকতার ছক বানচাল, মিলল ২টি প্রেশারকুকার বোমা
দিল্লিতে বড়সড় নাশকতার ছক শেষ মুহুর্তে বানচাল করে দিল পুলিশ। গ্রেফতার হয়েছে এক আইসিস জঙ্গি। ২টি প্রেশারকুকার বোমা উদ্ধার হয়েছে।
![Arrest](https://www.nilkantho.in/wp-content/uploads/2020/05/arrest-2.jpg)
নয়াদিল্লি : গত ১৫ অগাস্টেই ছিল হামলার ছক। কিন্তু দিল্লি জুড়ে সুরক্ষার কড়াকড়ি থাকায় তখন কিছু করে উঠতে পারেনি। অপেক্ষায় ছিল কখন সুরক্ষাবলয় আলগা হয়। দিল্লি পুলিশ যে এখনও সমান সজাগ তা বুঝে উঠতে পারেনি। তাই ২টি প্রেশারকুকার আইইডি বোমা বিস্ফোরণের ছক কষে তা রাখতে যাচ্ছিল এক আইসিস জঙ্গি। লক্ষ্য ছিল দিল্লির কোনও জনবহুল এলাকায় বোমা ২টির বিস্ফোরণ ঘটানোর। কিন্তু সেই চেষ্টা শেষ মুহুর্তে বানচাল করে দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। এমনই জানিয়েছেন দিল্লির ডিসিপি স্পেশাল সেল।
গত শুক্রবার গভীর রাতে দিল্লির ধওলা খান-করোল বাগ রুটে আইসিস জঙ্গি মহম্মদ মুসকান খান ওরফে আবু ইউসুফ খানকে ঘিরে ফেলে পুলিশ। শুরু হয় গুলির লড়াই। অল্প সময় স্থায়ী হয় গুলির লড়াই। পুলিশ দেখে গুলি চালাতে শুরু করলেও তা বেশিক্ষণ চালাতে পারেনি ওই আইসিস জঙ্গি। ধরা পড়ে পুলিশের হাতে। তবে তার ২ সঙ্গী পালাতে সক্ষম হয়। তাদের খোঁজে দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় তল্লাশি শুরু হয়েছে।
পুলিশ জানাচ্ছে, আবু ইউসুফ খান ২০১৫ সালে আইসিস-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ভারতে বড়সড় নাশকতা ঘটানোর পরিকল্পনা করছিল সে। শক্তিশালী আইইডি বানানো সে ভারতে বসেই শিখেছিল। তাকে এই বোমা তৈরি শেখায় আইসিস-এর আইইডি বোমা তৈরিতে সিদ্ধহস্ত বলে পরিচিত আবু হুজাইফা। আফগানিস্তানে বসে সোশ্যাল সাইটে আবু ইউসুফকে তালিম দেয় সে। গত বছর অবশ্য একটি ড্রোন হানায় মৃত্যু হয় আবু হুজাইফা-র।
উত্তরপ্রদেশের বলরামপুরের বাসিন্দা আবু ইউসুফ খানের একটি প্রসাধনীর দোকান রয়েছে। সেখানে বসেই সে প্রেশারকুকার বোমা তৈরি করেছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। এদিকে তার কাছ থেকে ২টি প্রেশারকুকার বোমা ছাড়াও একটি বন্দুক, ৪ রাউন্ড গুলি ও ১টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদও শুরু হয়েছে। এদিকে প্রেশারকুকার বোমা ২টি ঘটনাস্থলেই নিষ্ক্রিয় করে বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা