National

শেষ মুহুর্তে ফোন, কনেকে শ্বশুরবাড়ি পাঠাল না কনেপক্ষ

শেষ মুহুর্তে এল একটা ফোন। আর সেই ফোনের জেরেই কনেকে বিদায়বেলায় শ্বশুরবাড়ি যাওয়া থেকে আটকে দিল কনেপক্ষ।

হামিরপুর (উত্তরপ্রদেশ) : গত সোমবার ছিল বিয়ে। ধুমধাম করেই বিয়ে হয়। পরদিন সকালে তোড়জোড় শুরু হয় বরকনেকে বিদায় দেওয়ার। কনেপক্ষের তৎপরতায় শেষ নেই। কান্না ভেজা চোখে কনের পিতৃগৃহ ছেড়ে স্বামীর ঘরে যাওয়ার অপেক্ষা। বিদায়ের আগের সব নিয়মও সম্পূর্ণ। তখন কেবল কনেকে বিদায় জানানোটা বাকি। ঠিক সেই সময়ই বরের মোবাইল উঠল বেজে। আর ফোন রাখার পর বর যা জানালেন তাতে গোটা পরিবেশটা নিমেষে গেল বদলে।

২৪ বছরের তরুণ বর জানালেন তাঁর মা ও ভাইয়ের করোনা ধরা পড়েছে। রিপোর্ট সবে এসেছে। আর তাতেই জানা গেছে তাঁরা করোনা আক্রান্ত। একথা শোনার পর কনের বাড়িতে হৈচৈ পড়ে যায়। মেয়েকে বিদায় জানানো শেষ মুহুর্তে যায় থমকে। বরং পুরো মুড বদলে কনের বাবা জানিয়ে দেন তাঁর মেয়েকে তিনি স্বামীর সঙ্গে এখনই শ্বশুরবাড়ি যেতে দেবেন না। কিন্তু ‘বিদাই’ বলে কথা। এটাই তো পারম্পরিক নিয়ম! তাতে কী! মেয়ের বাবা তো বটেই, এমনকি কনের বাড়ির অন্যরা, গ্রামের সকলেও বরযাত্রীদের সাফ জানিয়ে দেন কনে এখন শ্বশুরবাড়ি যাবেনা। ফলে বিয়ে করেও কনে ছাড়াই বর বিদায় নেন। ফিরে আসেন নিজের বাড়িতে।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

বরের ভাই ও তাঁর মা থাকেন দিল্লিতে। বিয়ের দিন চারেক আগেই তাঁরা ফেরেন। তারপর নিয়ম মেনে হোম কোয়ারেন্টিনে যান। বরের বাবাও সিমলায় কর্মরত। তিনিও হোম কোয়ারেন্টিনে। অনেক দিন আগে থেকেই সব ঠিকঠাক। তাই ১৮ জন বরযাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে যান বর। কিন্তু বিয়ের পর পরিযায়ী হিসাবে করোনা পরীক্ষা হয় তাঁর ভাই ও মায়ের। আর তাতেই করোনা ধরা পড়ে। এদিকে কনেপক্ষকেও হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *