National

এ রাজ্যের ওপর আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান

রাজ্যের ওপর আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। ইঙ্গিত তেমনই।

Published by
News Desk

নয়াদিল্লি : বঙ্গোপসাগরের ওপর প্রথমে নিম্নচাপ। তারপর গভীর নিম্নচাপ। তারপর তা ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নেয়। দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড় শক্তি বাড়িয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিচ্ছে। আগামী ১৮ মে অর্থাৎ সোমবার তা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হবে।

ঘূর্ণিঝড়টির স্থলভাগের দিকে ২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে এগোতে শুরু করে আগামী ২০ মে স্থলভাগে আছড়ে পড়ার কথা। এখনও পর্যন্ত আবহবিদেরা আম্ফানের যে গতিপথ আন্দাজ করতে পারছেন তাতে তা পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়তে পারে। পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে প্রবল গতিতে প্রবেশ করে বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতিরও কারণ হতে পারে আম্ফান।

রবিবার পর্যন্ত তা উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিক বরাবর এগোবে। তারপর মুখ ঘুরিয়ে ১৮ মে থেকে তা উত্তর ও উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে। এমনই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। এতে ২০ মে আম্ফান স্থলভাগে আছড়ে পড়ার কথা। আর তা গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গেই আছড়ে পড়তে পারে বলে এখনও তার গতিপ্রকৃতি দেখে মনে করছেন আবহবিদেরা। ফলে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে প্রবল ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। যেমন থাকবে ঝড়ের গতি, তেমনই হবে প্রবল বৃষ্টি।

ওড়িশাও ইতিমধ্যেই উপকূলীয় এলাকায় বসবাসকারী মানুষজনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার তোরজোড় শুরু করেছে। ওড়িশায় এই ঝড়ের ফলে ৭ লক্ষ মানুষ প্রভাবিত হতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। ওড়িশা সরকার তাদের উপকূলীয় জেলাগুলির স্থানীয় প্রশাসনকে সতর্ক করে রেখেছে।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গেও সরকার বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ শুরু করেছে। আম্ফানের ফলে আগামী সপ্তাহের মধ্যভাগে একদম বদলে যেতে চলেছে রাজ্যের আবহাওয়া। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk