National

গ্যাস লিক কাণ্ডে সাহায্যে হাজির নৌসেনা, মৃত্যু বাড়ছে

বিশাখাপত্তনম গ্যাস লিক কাণ্ডে গ্রামবাসীদের সাহায্য করতে এগিয়ে এল নৌসেনা। গ্যাসের কারণে শুরু হওয়া শ্বাসকষ্ট রুখতে ব্রিদিং সেটও দিয়েছে নৌসেনা।

বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটে নাগাদ বিশাখাপত্তনমের কাছে আরআর ভেঙ্কটাপুরম গ্রামে রাসায়নিক কারখানা এলজি পলিমার ইউনিট থেকে বিষাক্ত গ্যাস লিক করা শুরু হয়। কোরিয়ান সংস্থা এলজি-র এই ইউনিটের থেকে এই বিষাক্ত গ্যাস লিক করে ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের ৩ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা গ্রামগুলিতে।

তখন গ্রামগুলো কার্যত ঘুমের দেশে ছিল। কিন্তু বিষাক্ত গ্যাসের সংস্পর্শে আসতেই বাসিন্দাদের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। চোখ জ্বলতে থাকে। অনেকে অচেতন হয়ে পড়েন। পরিস্থিতি দ্রুত শোচনীয় আকার নিতে থাকে। গ্রাম জুড়ে ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। এই অবস্থায় দ্রুত শুরু হয় উদ্ধারকাজ।

১ হাজার জনের ওপর মানুষ এই গ্যাসের সংস্পর্শে এসেছেন। যারমধ্যে এক বালিকা সহ ১১ জনের প্রাণ গেছে। ২০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়াও প্রাথমিকভাবে প্রায় ২০০ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই গ্যাস লিক কাণ্ডে মূলত চিকিৎসা হচ্ছে বিশাখাপত্তনমের কিং জর্জ হাসপাতালে।

এদিন বিষাক্ত গ্যাসের শিকার গ্রামবাসীদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে আসে ভারতীয় নৌসেনা। ৫০টি ব্রিদিং সেট, ৫টি পোর্টেবল মাল্টিফিড অক্সিজেন ম্যানিফোল্ড হাসপাতালে দিয়েছে নৌসেনা। এছাড়া নৌসেনার ২টি অ্যাম্বুলেন্স কাজ করছে অসুস্থ গ্রামবাসীদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসার জন্য।

গ্যাস লিক কাণ্ডে এখনও প্রায় আড়াইশো জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ২০ জন ভেন্টিলেটরে। পুরো পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি।

এদিকে এই গ্যাস লিক কাণ্ড নিয়ে এদিন দ্রুত জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকের ডাক দিয়ে বৈঠক করেন তিনি।

জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থার সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি জানান, বিশাখাপত্তনমের পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *