National

দম্পতিকে টয়লেটে কোয়ারেন্টিন, তদন্তের নির্দেশ

পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরলে এখন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে। এজন্য বিভিন্ন বাড়ি বা স্কুলকে অস্থায়ী কোয়ারেন্টিন সেন্টারের রূপ দেওয়া হয়েছে। এমনই একটি স্কুলের টয়লেটে কোয়ারেন্টিনে থাকা দম্পতির ছবি সামনে আসতেই হৈচৈ শুরু।

ভিন রাজ্য থেকে নিজ ভূমিতে ফেরার পর কোয়ারেন্টিন আবশ্যিক। এ নিয়ে যাঁরা ফিরছেন তাঁরাও যেমন বিভিন্ন সময়ে সতর্কতার পরিচয় দিচ্ছেন, তেমনই প্রশাসনও এঁদের কোয়ারেন্টিনের বন্দোবস্ত করছে। সেজন্য অস্থায়ীভাবে অনেক বাড়ি, স্কুলে কোয়ারেন্টিন সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছে। এমনই একটি স্কুলের টয়লেটে এক দম্পতি কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। এমন একটি ছবি সাধারণ মানুষের সামনে আসতে রীতিমত হৈচৈ শুরু হয়। সমালোচনার ঝড় ওঠে। ছবিতে দেখা গেছে টয়লেটের মধ্যে খাবার থালার সামনে বসে আছেন ওই ব্যক্তি। পাশে দাঁড়িয়ে আছেন তাঁর স্ত্রী।

স্কুলের ছাত্রদের জন্য বরাদ্দ ওই টয়লেট। সেখানেই এভাবে এক শ্রমিক দম্পতিকে কোয়ারেন্টিন করা নিয়ে বিভিন্ন মহল সোচ্চার হয়েছে। স্থানীয় মানুষের মধ্যেও প্রবল ক্ষোভ দানা বেঁধেছে। মধ্যপ্রদেশের গুনা এলাকার তোদারা গ্রাম পঞ্চায়েতের দেবীপুরার এই অমানবিক ছবি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠার পর গুনার ডিসট্রিক্ট কালেক্টর এস বিশ্বনাথ জানিয়েছেন, ছবিটি তখন হয়তো নেওয়া হয়েছে যখন ওই ব্যক্তি টয়লেটে যান এবং তাঁর স্ত্রী সেখানেই তাঁকে তাঁর খাবারটা পরিবেশন করেন।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

রাঘোগড়ের জেলা আধিকারিক জিতেন্দ্র সিং ধাকরে দাবি করেছেন ওই শ্রমিক দম্পতিকে কখনই টয়লেটে কোয়ারেন্টিন করা হয়নি। যদিও বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সংবাদ সংস্থা আইএএনএস অবশ্য জানাচ্ছে তাদের সূত্র বলছে ওই শ্রমিক দম্পতিকে ওই স্কুল বাড়ির শৌচালয়েই কোয়ারেন্টিন করা হয়েছিল। পরে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর তাঁদের সরিয়ে আনা হয় মূল স্কুল বাড়িতে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *