National

আগে ভোট দাও তবে বিয়ে, কনেকে সাফ জানালেন বর

দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে শনিবার সকাল থেকেই শুরু হয় ভোট গ্রহণ। শুরু থেকে ভোট দানে তেমন উৎসাহ নজর কাড়েনি। বরং সব বুথই ছিল প্রায় ফাঁকা। কম ভোট পড়ছিল। এরমধ্যেই লক্ষ্মী নগর বিধানসভা কেন্দ্রের এমসিডি প্রাইমারি স্কুলে হওয়া বুথের সামনে সকলের চোখ আটকে গেল। পুলিশ থেকে আরম্ভ করে ভোটার থেকে স্থানীয় মানুষ। সকলেই অবাক হয়ে দেখেন বরের সাজে সেখানে হাজির এক যুবক। সঙ্গে সেজেগুজে বরযাত্রী। ধনঞ্জয় ধ্যানী নামে বরের সাজে থাকা ওই যুবক জানান তিনি ভোট দিতে এসেছেন এখানে।

পড়ুন : সেজে বসে রইল কনে, বিয়ের মণ্ডপের সামনেই মৃত বর


ধনঞ্জয়ের বিয়ে সকালেই। লগ্ন তেমনই পড়েছে। কনে অপেক্ষা করে আছে। কনের বাড়ি অপেক্ষা করে আছে। কখন হাজির হবে বর। কিন্তু ধনঞ্জয় সাফ জানিয়ে দিলেন, আগে তিনি ভোট দেবেন তারপর বিয়েতে যাবেন। এমনকি সঙ্গে থাকা বরযাত্রীদেরও তিনি জানিয়ে দেন আগে তাঁদের ভোট দিতে হবে। তারপর তাঁর বরযাত্রী হিসাবে কনের বাড়িতে যেতে পারবেন তাঁরা।

পড়ুন : বিয়ে করতে যাওয়ার পথে নেমে পড়ল বর, বসে পড়ল আন্দোলনে

ধনঞ্জয় শুধু নিজেই ভোট দেননি। ভোট দেওয়ার পর ফোন করেন তাঁর হবু স্ত্রীকে। ফোনেই জানান কনের সাজেই তাঁকে যেতে হবে তাঁর নির্দিষ্ট ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে। সেখানে ভোট দিতে হবে। তারপরই তাঁরা বিয়ে করবেন। তার আগে নয়। যেখানে দিল্লির আমজনতাই এবার ভোট বিমুখ সেখানে জীবনের এমন একটা দিনে লগ্ন বয়ে যায় এমন অবস্থায় ধনঞ্জয়ের এই জিদ কিন্তু অনেকের চোখ খুলে দিয়েছে। ধনঞ্জয় দিল্লিবাসীকেও বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে নিজের ভোটদান ক্ষমতা প্রয়োগের আর্জি জানান। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button