National

ভারত বন্‌ধের কেমন সাড়া পড়ল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে

২৪ ঘণ্টার ভারত বন্‌ধকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গে সকাল থেকেই অশান্তি শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অশান্তিও বাড়ে। দেশ জুড়েও এদিন বন্‌ধের ডাক দিয়েছে শ্রমিক সংগঠনগুলি। ১০টি শ্রমিক সংগঠনের ডাকে ভারত বন্‌ধে আংশিক সাড়া দেখতে পাওয়া গিয়েছে। কোথাও একটু বেশি তো কোথাও বোঝাই যায়নি এদিন বন্‌ধ। পঞ্জাবে বন্‌ধে ভাল সাড়া পড়ে। যদিও তার পাশের রাজ্য হরিয়ানায় বন্‌ধের প্রভাব পড়েছে আংশিক।

রাজধানী দিল্লিতে বন্‌ধে তেমন প্রভাব নেই। সব দোকানপাটই খোলা থেকেছে। জনজীবনও ছিল স্বাভাবিক। তবে দিল্লিতে এদিন শ্রমিক সংগঠনগুলির তরফে বিশাল সমাবেশ থেকে বন্‌ধের সমর্থনে বক্তব্য রাখা হয়। বেঙ্গালুরুতে বন্‌ধের প্রভাব পড়েছে অল্পই। তবে কিছু এলাকায় দোকানপাট বন্ধ ছিল। দোকান কিছু বন্ধ থাকলেও অফিস কাছারি স্কুল সবই চলেছে স্বাভাবিক ছন্দে। অন্যদিকে একসময়ে বামেদের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত ত্রিপুরায় এদিন বন্‌ধের ভাল প্রভাব দেখা গেছে। যদিও সেখানে এখন বিজেপির শাসন। তবু বামেদের বন্‌ধের প্রভাব রীতিমত ছিল চোখে পড়ার মতন।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

ওড়িশাতেও বন্‌ধের ভাল প্রভাব পড়েছে। বাস কম ছিল রাস্তায়। সিএএ, এনআরসি, এনপিআর বিরোধিতার পাশাপাশি ১৪ দফা দাবিতে এদিন ১০টি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনের ডাকা ভারত বন্‌ধ ওড়িশার জনজীবনে ভাল প্রভাব ফেলেছে। স্কুল, কলেজ ছিল বন্ধ। বাস, ট্রেন পরিষেবা মুখ থুবড়ে পড়ে। রাস্তায় পথ অবরোধ হয় অনেক জায়গায়। এমনকি যেখানে কলকাতা বিমানবন্দরেও বন্‌ধের প্রভাব দেখা যায়নি সেখানে ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরে বন্‌ধের প্রভাব পড়েছে যথেষ্ট।

উত্তরপ্রদেশে বন্‌ধের মিশ্র প্রভাব দেখা গেছে। দোকানপাট সকালের দিকে বন্ধ থাকলেও বেলা বাড়ার পর কিছু দোকান খোলে। কিন্তু ব্যাঙ্ক পরিষেবা কার্যত স্তব্ধ। বিশেষত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির শাখার শাটার ছিল নামানো। প্রভাব পড়েছে ডাক পরিষেবাতেও। তবে উত্তরপ্রদেশে বন্‌ধকে কেন্দ্র করে কোনও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। মহারাষ্ট্রে কিন্তু বন্‌ধের প্রভাব কিছুটা হলেও পড়েছে। অনেক কারখানা এদিন বন্ধ ছিল। অনেক জায়গায় দোকানপাট খোলেনি। ক্ষমতাসীন শিবসেনার সমর্থন থাকায় এদিন সরকারি, বেসরকারি সংস্থা, ব্যাঙ্ক সহ বিভিন্ন জায়গায় কর্মীরা বন্‌ধ পালন করেছেন।

দেশের মধ্যে বন্‌ধ সবচেয়ে সর্বাত্মক হয়েছে কেরালায়। কেরালাতেই একমাত্র বাম শাসন রয়েছে। ফলে সেখানে যে বন্‌ধ সর্বাত্মক হবে তা স্বাভাবিক ছিল। এদিন কেরালা কার্যত থমথম করেছে। সুনসান রাস্তাঘাট। গাড়ি নেই বললেই চলে। দোকানপাট, অফিস, স্কুল সব ছিল বন্ধ। অন্ধ্রপ্রদেশে বন্‌ধের তেমন একটা প্রভাব পড়েনি। তবে মিছিল করার সময় বেশ কয়েকজন বাম নেতা এদিন গ্রেফতার হন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *