National

ডলার, ইয়েনের বর্ষা, হতদরিদ্র এলাকায় এখন সবাই বড়লোক

কিছুদিন আগেও এই প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ চরম দারিদ্রে দিন গুজরান করতেন। পরিবারের মুখে দুবেলা ঠিকমত খাবার তুলে দেওয়াই ছিল চ্যালেঞ্জ। কোনওক্রমে খোলার চালের কুঁড়েঘরে পরিবার নিয়ে ছিল বসবাস। এসব হতদরিদ্র মানুষগুলো বেঁচে থাকার লড়াই চালাতেন প্রত্যেকদিন। তাঁরা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবেননি তাঁদেরও পাকা বাড়ি হবে। খাওয়া পড়ার কোনও সমস্যা থাকবেনা। তাঁদের সন্তানেরা বড় স্কুলে পড়াশোনা করবে। কিন্তু সেইটাই বাস্তবে হয়েছে।

এখন উত্তরপ্রদেশের গোণ্ডা জেলার ওয়াজিরগঞ্জ এলাকার হতদরিদ্র মানুষগুলো বাঁচছেন মাথা উঁচু করে। সৌজন্যে ডলার, ইয়েন, দিনার। আরও অনেক বিদেশি মুদ্রাও তাঁদের দিন ফিরিয়েই শুধু দেয়নি ১৮০ ডিগ্রি ঘুরিয়েও দিয়েছে।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

এই পুরো কৃতিত্ব এখানকারই একসময়ের বাসিন্দা বর্তমানে মার্কিন মুলুকে সফটওয়্যার সংস্থার মালিক দীপেন সিনহার। তিনিই এখানকার যুবকদের বিদেশে একের পর এক রোজগারের বন্দোবস্ত করে দিয়েছেন।

দীপেন সিনহার হাত ধরে এখন ওয়াজিরগঞ্জের ওয়াসিম দামাস্কাসে রেস্তোরাঁর মালিক। আবার কেউ সৌদি আরবে সেলুন চালান।

এমন নানা কাজে যুক্ত সকলে। মোটা রোজগার করছেন বিদেশে। আর সেই রোজগারের অর্থ পাঠাচ্ছেন বাড়িতে। হাসি ফুটছে, ভাগ্য ফিরছে পরিবারের।

খতিয়ান বলছে ওয়াজিরগঞ্জ এলাকার কয়েকটি গ্রামের ২০০ জনের বেশি যুবক এখন দীপেন সিনহার হাতযশে বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছেন। রোজগার করছেন। পরিবারকে দেখছেন। শুধু পরিবার বলেই নয়, এসব গ্রামের চেহারাও এঁদের রোজগারে বদলে যেতে শুরু করেছে। এলাকার অর্থনীতি পরিবর্তন হতে শুরু করেছে।

এখানকার যুবারা চাইছেন সকলেই বাইরে যেতে। এখনও শতাধিক যুবক পাসপোর্টের জন্য আবেদন করে বসে আছেন। তাঁরাও আগামী দিনে বাইরে কাজ করতে যেতে প্রস্তুত। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *