National

নিজেকে গুলি করে আত্মহত্যা করলেন নিরঞ্জনী আখড়ার মহন্ত

হিন্দু ধর্মাচরণের ক্ষেত্রে আখড়ার ভূমিকা যথেষ্ট। একাধিক আখড়া রয়েছে দেশ জুড়ে। তারমধ্যে অন্যতম নিরঞ্জনী আখড়া। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে রয়েছে নিরঞ্জনী আখড়ার নিজস্ব জায়গা। সেখানেই থাকতেন আখড়ার প্রধান মহন্ত আশিস গিরি মহারাজ। রবিবার নিজেই নিজেকে গুলি করেন তিনি। নিজের লাইসেন্স থাকা বন্দুক থেকেই গুলি চলে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় রবিবার প্রয়াগরাজে হুলস্থূল পড়ে যায়।

পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের ধারণা নিজের অসুস্থতায় অতিষ্ঠ হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন আশিস গিরি মহারাজ। তিনি উচ্চ রক্তচাপে বহুদিন ধরেই ভুগছিলেন। সেইসঙ্গে পেটের সমস্যাও ছিল। তাঁর লিভারের অবস্থা ভাল ছিলনা। কিছুদিন আগে দেরাদুনের একটি হাসপাতালে দুর্বলতার কারণে ভর্তি হয়েছিলেন। রবিবার আখড়ায় নিজের দোতলার ঘরেই সকালে আত্মহত্যা করেন তিনি।

অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের প্রেসিডেন্ট মহেন্দ্র গিরি জানান, রবিবার সকালে তিনি ৮টা নাগাদ আশিস গিরির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তাঁকে প্রাতরাশে নিমন্ত্রণ জানান। আশিস গিরি মহারাজ তাঁকে জানান তিনি স্নান সেরে প্রাতরাশ খেতে হাজির হবেন। কিন্তু অন্য আমন্ত্রিত মহন্তরা এলেও আশিস গিরি আসেননি। এদিকে নিরঞ্জনী আখড়ার অন্য সদস্যরা অনেকক্ষণ আশিস গিরির সাড়া না পেয়ে তাঁর ঘরে গিয়ে দেখেন গোটা ঘর রক্তে ভেসে যাচ্ছে। মহারাজ লুটিয়ে পড়ে আছেন। মহেন্দ্র গিরি জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিরক্ত ছিলেন আশিস গিরি। চিকিৎসকেরা তাঁকে জানিয়েছিলেন, অতিরিক্ত মদ্যপান ও ধূমপান তাঁর শরীরের ক্ষতি করেছিল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *