National

তাদের হাতে বিকল্প পথও রয়েছে, হুঁশিয়ারি দিল সেনা

মহারাষ্ট্র হরিয়ানা নয়। সেখানে কোনও দুষ্মন্ত চৌটালা নেই। দুষ্মন্তের বাবার মত কেউ জেলে নেই যে বিজেপি চাপ দিয়ে জোট সরকার তৈরি করতে বাধ্য করবে। মহারাষ্ট্রে শিবসেনা স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রেখে চলে। তাই তাদের ওভাবে চাপ দেওয়া যাবেনা। তাছাড়া বিজেপি যদি তাদের ৫০-৫০ ক্ষমতা বিভাজনের ফর্মুলা মেনে না নিতে চায় তাহলে তাদের অন্য রাস্তা খোলা আছে। বিকল্প পথও খুলে রেখেছে শিবসেনা। বিজেপির ওপর চাপ আরও বাড়িয়ে এমনই জানিয়ে দিলেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। এবার বিজেপির কোর্টে বল। তারা ৫০-৫০ ক্ষমতা বিভাজন নিয়ে শিবসেনার ফর্মুলা মেনে নেবে, নাকি মানবে না তা তাদের ব্যাপার। তবে শিবসেনা যে বিজেপি না হলে এনসিপি-র সঙ্গে জোট করেও সরকার গড়তে পারে তা এদিন তারা এনসিপি নামটা না করেও পরিস্কার করে দিয়েছে।

হরিয়ানায় সরকার গড়ার মত সংখ্যা গরিষ্ঠতা না নিয়েও সেখানে সরকার গড়তে বেগ পেতে হয়নি বিজেপিকে। অমিত শাহ প্রথমে নির্দল বিধায়কদের নিশ্চিত করেন। তারপর জেজেপি নেতা দুষ্মন্ত চৌটালার সঙ্গে কথা বলে নির্দল প্রার্থীদের নেতা গোপাল কান্দাকে ছুঁড়ে ফেলে জানিয়ে দেন বিজেপি জেজেপির সঙ্গে সরকার গড়ছে। পরে মুখ্যমন্ত্রী পদে ফের একবার শপথ নেন মনোহর লাল খট্টর। উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন দুষ্মন্ত চৌটালা।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

যে দুষ্মন্ত হরিয়ানার জাঠ অধ্যুষিত এলাকায় বিজেপি বিরোধী প্রচার করে ভোট পেয়ে ১০টি আসন জেতেন। সেই দুষ্মন্ত বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোয় অবাক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও। এদিকে সরকার গড়ার জন্য ম্যাজিক ফিগারের থেকে ৬ আসন কম থাকা সত্ত্বেও হরিয়ানায় অনায়াসে সরকার গড়েছে বিজেপি। প্রথমে গোপাল কান্দার সঙ্গে সমঝোতা করে নির্দল ৮ বিধায়কের সমর্থন নিশ্চিত করে বিজেপি। তারপর সেখানেই থেমে না গিয়ে জেজেপি নেতা দুষ্মন্ত চৌটালার সঙ্গে সমঝোতা করে তাঁর ১০ বিধায়কের সমর্থন জোগাড় করে। তারপর জানিয়ে দেয় কান্দার সমর্থন তাদের আর দরকার নেই। এই পুরো বিষয়টিকে নিশানা করেছেন সঞ্জয় রাউত।

দুষ্মন্ত চৌটালার বাবা অজয় চৌটালা এতদিন তিহার জেলে বন্দি ছিলেন। কিন্তু যেই দুষ্মন্ত বিজেপির সঙ্গে সরকার গড়তে রাজি হলেন তার পরদিনই তিহার থেকে ছাড়া পেয়ে গেলেন দুষ্মন্তর বাবা। এদিকে শিবসেনার অনড় মানসিকতায় বিজেপি ফের মহারাষ্ট্রে সরকার গড়তে পারছে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ফল বার হওয়ার পর কটা দিন কেটে গেলেও এখনও কোনও সমাধান সূত্রে বার হয়নি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *