National

মহারাষ্ট্র, হরিয়ানায় কম ভোট, কেরালায় বাধ সাধল প্রবল বৃষ্টি

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার দ্বিতীয়বারের জন্য কেন্দ্রের মসনদে বসার পর সোমবারই ছিল প্রথম ভোট। মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল এদিন। মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানা, এই ২ রাজ্যেই ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি তথা এনডিএ। এদিকে লোকসভায় বড়সড় ধাক্কার জের এখনও সামলে উঠতে পারেনি কংগ্রেস। মহারাষ্ট্রের তারা লড়ছে শরদ পাওয়ারের এনসিপি-র সঙ্গে জোট করে। অন্যদিকে মহারাষ্ট্রের বিজেপি-শিবসেনা জোট এবারও অক্ষুণ্ণ।

এদিন ২ রাজ্যেই কিন্তু ভোটদানের হার ছিল কম। সকাল থেকেই ধীরে ভোট হয়েছে। বুথে বুথে তেমন একটা ভিড় সারাদিনে কখনই নজর কাড়েনি। মহারাষ্ট্রে সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৪৪.৬ শতাংশ। অন্যদিকে হরিয়ানাতেও সকাল থেকই ভোটের হার ছিল কম। কমিশনের দেওয়া শেষ খতিয়ান অবধি এখানে ভোট পড়েছে ৫৯.০১ শতাংশ। এদিন দেশের আরও ৫৩টি আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হল। কেরালা, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব সহ মোট ১৭টি রাজ্য ও ১টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোট হয়েছে।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

কেরালায় উপনির্বাচন এদিন বড় ধাক্কা খেয়েছে বৃষ্টির জন্য। প্রবল বৃষ্টির জেরে কেরালায় ভোট পড়েছে খুবই কম। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কম মানুষই ভোটকেন্দ্রমুখী হয়েছেন। তারমধ্যেই মঞ্জেশ্বরম কেন্দ্রে এক মহিলা ভুয়ো ভোটারকে প্রিসাইডিং অফিসার চিহ্নিত করার পর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানায় এদিন ভোটের হার দুপুর পর্যন্ত ছিল কম। প্রধানমন্ত্রী নিজে ট্যুইট করে সকলকে ভোটদানে উৎসাহ দেন। হরিয়ানায় এবার ৯০টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৭৫টি জেতার লক্ষ্য স্থির করেছেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর।

মহারাষ্ট্রের এদিন সকাল থেকে বিশাল ভোটদান প্রবণতা চোখে না পড়লেও বলিউড তারকারা অনেকেই এদিন সকাল সকাল ভোট দেন। ভোট দিয়ে বেরিয়ে রাজ্যের মানুষকে ভোটদানে উৎসাহ দেন। যাতে তাঁরাও বাড়ি থেকে বেরিয়ে ভোট কেন্দ্রে এসে নিজের ভোটটি দিয়ে যান। বলি সেলেবদের মধ্যে এদিন সবচেয়ে সকালে ভোট দেন আমির খান। ভোট দেন দীপিকা পাড়ুকোন, বরুণ ধাওয়ান, জন আব্রাহাম, বিদ্যা বালান, মাধুরী দীক্ষিত, অনিল কাপুর। ভোট দেন ধর্মেন্দ্র, প্রেম চোপড়া, জুহি চাওলা, সোহা আলি খান, প্রীতি জিন্টা, লারা দত্ত-র মত তারকারাও। গুলজার, জাভেদ আখতার, সেলিম খানদেরও ভোট কেন্দ্রে দেখা যায়। সকলেই ভোটের পর অন্যদের ভোট দানে উৎসাহ দিতে ভোলেননি। হাসিমুখে ভোট দেওয়ার পর ছবিও তোলেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *