National

শাশুড়ির উপস্থিতিতে শ্বশুরবাড়ি থেকে বার করে দেওয়া হল ঐশ্বর্য রাইকে

শ্বশুরবাড়িতে জায়গা হল না ঐশ্বর্য রাইয়ের। তাঁকে বাড়ি থেকে বার করে দিলেন তাঁর ননদ। ঐশ্বর্যর অভিযোগ তাঁকে যখন ননদ বাড়ি থেকে বার করে দিচ্ছে তখন এই পুরো ঘটনায় মদত ছিল তাঁর শাশুড়ির। তাঁর ননদ যে বিয়ের পর থেকেই ঐশ্বর্যের সঙ্গে তাঁর স্বামীর বনিবনা চাইছিলেন না সে দাবিও করেছেন তিনি। তাঁর দাবি গত ৩ মাস ধরে তাঁকে শ্বশুরবাড়িতে খেতে দেওয়া হচ্ছিল না। তাঁকে রান্নাঘরেও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না। তাঁর বাপের বাড়ি থেকে যে খাবার আসছিল তাই খেয়ে বেঁচে ছিলেন ঐশ্বর্য।

আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদব পশু খাদ্য কেলেঙ্কারিতে কারাদণ্ডে দণ্ডিত। ফলে তিনি বাড়িতে নেই। এদিকে তাঁর বড় ছেলে তেজ প্রতাপ যাদবের সঙ্গে গত ২০১৮ সালের মে মাসে বিয়ে হয় বিহারের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা চন্দ্রিকা রাইয়ের মেয়ে ঐশ্বর্য রাইয়ের। বিয়ের পর কিছুদিন ঠিকঠাকই কাটে তাঁদের মধ্যে। কিন্তু বিয়ের মাস ছয়েক কাটতে না কাটতেই তেজ প্রতাপ ঐশ্বর্যের সঙ্গে ডিভোর্স চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়। তারপর থেকেই তলানিতে ঠেকে তেজ প্রতাপ ও ঐশ্বর্যের সম্পর্ক।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

স্বামী ডিভোর্স চাইলেও ঐশ্বর্য তাঁর স্বামীর ঘর ছেড়ে যেতে রাজি ছিলেননা। যদিও তাঁর দাবি, তাঁর ননদ রাজ্যসভার সাংসদ মিসা ভারতী তাঁকে দেখতে পারেননা। তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার গোড়া থেকেই তিনি করছিলেন। তেজ প্রতাপের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খারাপ করার পিছনেও তাঁর ননদ মিসার হাত রয়েছে বলে দাবি করেছেন ঐশ্বর্য। তিনি শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতনের শিকার বলেও দাবি করেছেন। এর মাঝেই একদিন ঐশ্বর্যকে কাঁদতে কাঁদতে লালুপ্রসাদ যাদবের বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যেতে দেখেন সকলে। কিছুক্ষণ পর তিনি ফের ফেরেন ওই বাড়িতে। আবার কিছুক্ষণ পর ওড়নায় চোখের জল মুছতে মুছতে তাঁকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়।

মেয়ের বিয়ে একটা বড় পরিবারে দেওয়া হল ভেবে শান্তিতে ছিলেন চন্দ্রিকা রাই। কিন্তু বিয়ের এক বছরের মধ্যেই মেয়ের এমন পরিস্থিতিতে এখন চরম লজ্জিত তিনি। এমন একটা পরিবারে মেয়ের বিয়ে দিয়ে তিনি চরম লজ্জিত বলে জানিয়েছেন স্বয়ং চন্দ্রিকা। এদিকে গত শনিবার রাতেই ঐশ্বর্যকে বাড়ি থেকে বার করে দেন তাঁর ননদ বলে দাবি করেছেন তিনি। তাঁর শাশুড়ি তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়িদেবীর যে এতে প্রত্যক্ষ মদত ছিল তাও দাবি করেছেন তিনি। ঐশ্বর্যের দাবি কিন্তু আরজেডি-র জন্য খুব ভাল খবর নয়। কারণ লালুর পরিবারে এমন ঘটনা তাঁর দলের ভাবমূর্তির ওপরও প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *