National

বিচার চেয়ে মৃত ভ্রূণ হাতে এসপি-র দফতরে গণধর্ষিতা তরুণী

জোর করে গর্ভপাত করানোর পর ৫ মাসের দলা পাকানো ভ্রূণ তাঁর হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল ক্লিনিক। কিন্তু লাগাতার ধর্ষণ, ভীতি প্রদর্শনে মানসিক দিক থেকে ক্ষতবিক্ষত তরুণী কার্যত মরিয়া হয়েই সেই ভ্রূণ হাতে সোজা হাজির হন পুলিশ সুপারের দফতরে। জানান তাঁর সাথে ঘটে যাওয়া একের পর এক নির্যাতনের কথা। স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে ধর্ষণের কথা জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে জানান তিনি। সব কথা শুনে তরুণীর অভিযোগ গ্রহণ করেছে পুলিশ। তদন্ত শুরু হয়েছে।

লাগাতার গণধর্ষণে গর্ভবতী হয়ে পড়েন ২০ বছরের ওই তরুণী। মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার ঘটনা। তরুণীর অভিযোগ, পুলিশকে ধর্ষণের বিষয়ে জানিয়ে কিছু লাভ হয়নি। অভিযুক্ত নীরজ ও তার ভাই ধীরজ পাণ্ডের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেয়নি পুলিশ। উল্টে পাশবিক যৌন অত্যাচারের ফলে গর্ভবতী হয়ে পড়েন ওই তরুণী। গর্ভধারণের পর থেকেই পেটে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয় তাঁর। গত বুধবার অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে অটোয় করে রওনা দেন তরুণীর মা। অভিযোগ, মাঝে তাঁদের পথ আটকায় অভিযুক্ত ধর্ষকরা। তারপর একটি ক্লিনিকে নিয়ে গিয়ে জোর করে তাঁর গর্ভপাত করায় অভিযুক্তরা। এই কাজে তাদের সাহায্য করে ওই ক্লিনিকে কর্মরত এক নার্স। এ ব্যাপারে কাউকে কিছু জানালে তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয় বলে দাবি করেছেন ওই তরুণী।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

এত অত্যাচার আর সহ্য করতে পারেননি ওই তরুণী। মরিয়া হয়ে মাকে নিয়ে পুলিশ সুপারের দফতরে মৃত ভ্রূণ হাতে হাজির হন তিনি। রক্তমাখা দলা পাকানো ভ্রূণ হাতে নিয়ে তরুণীকে দেখে হতবাক হয়ে যান উপস্থিত পুলিশ কর্মীরা। হতভম্ব ভাব কাটিয়ে ওঠার পর তরুণীর সমস্ত অভিযোগ গ্রহণ করা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *