মৎস্যই ভরসা, সমুদ্রের তলায় ইতিহাস গড়ার পথে ভারত, অপেক্ষার প্রহর গোনা শুরু
মৎস্য তো জলেরই অংশ। সেই মৎস্যের পেটেই এবার সমুদ্রের গভীরে ইতিহাস গড়তে চলেছে ভারত। যার প্রহর গোনা শুরু হয়ে গেছে।

মহাকাশে তারা যে কি করতে পারে তা ভারত গোটা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে। এবার পালা গভীর সমুদ্রে নিজেদের দাপট দেখানোর। আর তা দেখানোর প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। এতদিন ভারত গভীর সমুদ্রে যতটাই পৌঁছেছে তা যন্ত্রের ভরসায়। অতি গভীরে মানুষ পাঠায়নি ভারত।
এবার তারা সমুদ্রের ৬ হাজার মিটার তলায় মানুষ পাঠাতে চলেছে। ৩ বিজ্ঞানী এই জলের অতি গভীরে পৌঁছে যাবেন। আর তাঁদের নিয়ে যাবে মৎস্য। মৎস্য মানে মাছ ঠিকই, তবে ৩ ভারতীয় বিজ্ঞানীকে নিয়ে যে মৎস্য সমুদ্রের অতি গভীরে পৌঁছে যাবে তা একটি দেশিয় প্রযুক্তিতে তৈরি সাবমার্সিবল যান।
তার পেটে চেপেই অতি গভীর সমুদ্রে পৌঁছে যাবেন ৩ ভারতীয় বিজ্ঞানী। তাঁরা সমুদ্রের সেই অতি গভীরের জগতকে চাক্ষুষ করবেন। প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করবেন।
ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি মৎস্য যানটির ওজন ২৫ টন। প্রবল উত্তাপ ও জলের চাপ সহ্য করতে পারে এর দেহ। যেটি টাইটানিয়াম দিয়ে তৈরি। ২০২৬ সালের শেষেই ভারত এই মৎস্যে চেপে সমুদ্রের গভীরে মানুষকে নিয়ে যেতে সক্ষম হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞেরা।
যা অতি গভীর সমুদ্রে ভারতীয় গবেষণার দিগন্ত খুলে দেবে। নতুন ইতিহাস লিখবে ভারত। এই প্রথম এত গভীরে কোনও ভারতীয় পৌঁছে যাবেন গবেষণা করতে। এই ইতিহাসের পাতায় নাম তোলা এখন সময়ের অপেক্ষা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা