SciTech

ইচ্ছাকৃতভাবে গ্রহাণুকে গুঁতিয়ে সফল হল নাসা, নিশ্চিন্ত হল আগামী পৃথিবী

গ্রহাণুটি নিজের মতই ছুটে যাচ্ছিল। পৃথিবীর ধারে কাছেও ছিলনা। তারপরেও তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে গুঁতোয় নাসার যান। যদিও সেই ধাক্কার হাত ধরে এখন অনেকটা নিশ্চিন্ত আগামী পৃথিবী।

নাসার মহাকাশযান ডবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট বা ডার্ট ২০২১ সালে পাড়ি দিয়েছিল মহাকাশে। তারপর ১৪ হাজার মাইল প্রতি ঘণ্টা গতিতে সেটি ছুটে যায় একটি গ্রহাণুকে লক্ষ্য করে।

১০ মাস এভাবে সফর করার পর অবশেষে প্রায় ১১ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে গ্রহাণুটির কাছে পৌঁছয় ডার্ট। ডিমরফোজ নামে ওই গ্রহাণুটিকে তারপর সজোরে ধাক্কা মারে যানটি।

এটাই ছিল তার কাজ। নাসা যানটিকে এই গুঁতো মারার জন্যই পাঠিয়েছিল। গুঁতো মারার সঙ্গে সঙ্গে যানটি ধ্বংস হয়ে যায়। আর নাসার তরফে শুরু হয় প্রতিটি ক্ষণ পর্যবেক্ষণ করা।

একটি সাতে পাঁচে না থাকা গ্রহাণুকে ইচ্ছে করে গুঁতো মারতে পাঠিয়ে কি লাভ হল নাসার? অবশ্যই বিশাল লাভ হয়েছে। নাসা যে বিষয়টি নিশ্চিত হতে ডার্টকে এত দূর পাঠায় ধাক্কা মেরে শেষ হয়ে যাওয়ার জন্য সেই উদ্দেশ্য সফল হয়।

নাসার তরফে জানানো হয়েছে গত সেপ্টেম্বরে ডার্ট গ্রহাণুটিকে ধাক্কা মারার পর সেটি তার স্বাভাবিক গতিপথ থেকে অনেকটাই সরে গেছে। যাকে এক দারুণ সাফল্য হিসাবেই দেখছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।

এই প্রথম নাসা পৃথিবীর প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করল। মহাকাশ থেকে ছুঁড়ে দেওয়া কোনও মহাজাগতিক খণ্ড পৃথিবীর দিকে ছুটে এসে ধাক্কা মারলে তার জেরে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে পৃথিবী। তাই পৃথিবীকে বাঁচাতে পৃথিবীকে লক্ষ্য করে ছুটে আসা এমন মহাজাগতিক হানার পথ ঘুরিয়ে দিতে পৃথিবী থেকেই পাঠানো হবে মহাকাশযান।

যা সেটিকে পৃথিবীতে পৌঁছনোর আগেই ধাক্কা মেরে সেটির পথ ঘুরিয়ে দেবে। রক্ষা পাবে পৃথিবী। তারই পরীক্ষা সফল হওয়ায় কার্যত খুশি নাসা সহ তামাম বিশ্ববাসী। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *