SciTech

মঙ্গলে বয়ে যাওয়া জলের ধারনা বদলে দিতে অজানা জায়গায় নাসার যান

মঙ্গলের একদম অচেনা জায়গায় পৌঁছে গেল কিউরিওসিটি। সেখানে পৌঁছনোর পর এবার বিজ্ঞানীরা মনে করছেন যে তথ্য পাওয়া যেতে পারে, তা লাল গ্রহের জল ধারনা বদলে দিতে পারে।

মঙ্গলগ্রহে কি জল ছিল? এ প্রশ্ন বহুদিনের। তার উত্তর হিসাবে একটা ইঙ্গিত বিজ্ঞানীরা দিয়ে থাকেন। কোটি কোটি বছর আগে মঙ্গলে জল ছিল বলেই এখন নানা তথ্যের ভিত্তিতে মনে করেন বিজ্ঞানীরা।

মঙ্গলগ্রহে নাসার যান পৌঁছনোর পর সেখানের মাটিতে ঘুরে যে সব তথ্য কিউরিওসিটি পাঠিয়েছে, তার হাত ধরে বিজ্ঞানীরা মঙ্গলগ্রহে জল থাকার রহস্য উদ্ঘাটনে অনেকটাই এগিয়ে গেছেন।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

এদিকে জলের অস্তিত্ব নিয়ে আরও খোঁজখবর করতে এবার কিউরিওসিটি পৌঁছে গেছে মঙ্গলগ্রহের একদম নতুন এক জায়গায়। বিজ্ঞানীদের ধারনা যেখানে সে পৌঁছেছে সেখানে জলের ধারা বয়ে যাওয়ার প্রমাণ পেতে পারে কিউরিওসিটি। আর তা বদলে দিতে পারে এতদিন ধরে মঙ্গলে কতদিন আগে জল ছিল সে সম্বন্ধে বিজ্ঞানীদের পরিচিত ধারনা।

কারণ তাঁরা মনে করছেন যে সময় মঙ্গল থেকে জল উধাও হয়ে যায় বলে মনে করেন তাঁরা, মঙ্গলে তার পরেও জলের ধারা বয়ে যেত বলেই এখন মনে হচ্ছে তাঁদের। কারণটা কিউরিওসিটি যেখানে পৌঁছে গেছে সেখানকার কিছু লক্ষণীয় বিষয়।

গেডিজ ভালিস চ্যানেল নামে একটি জায়গার কাছে রয়েছে কিউরিওসিটি। যেখানে আঁকাবাঁকা হয়ে হয়ে একটি মাটির অংশ আকাশ থেকেই দেখতে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

তাঁরা মনে করছেন একদম পৃথিবীর মতই এখান দিয়েও এঁকে বেঁকে মঙ্গলের বুকে এক প্রাচীন নদী বয়ে যেত। এবার তাঁরা অপেক্ষায় কিউরিওসিটি পরীক্ষা করে আরও কি তথ্য তাঁদের পাঠায় সেদিকে।

তাহলে তাঁদের ধারনা আরও পোক্ত হবে। আর তা হলে এতদিন ধরে যে ধারনা মঙ্গলের জল নিয়ে ছিল, তা বদলে যেতে পারে। — তথ্যসূত্র — নাসা জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *